শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৯:৫৪ সকাল
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৯:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আহসান হাবিব: মৌলবাদ কখনোই জয়ী হবে না

আহসান হাবিব: মৌলবাদ পুঁজির দাস, ধর্ম তাদের লেবাস। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে পেলে ধর্মের যা কিছু আইন, তা বলবৎ করতে পারে না। কারণ ততোদিনে উৎপাদন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যের কারণে যে পরিবর্তন আসে, তা বদলে ফেলার কোনো সুযোগ থাকে না, ফলে তারা সংস্কৃতির উপর চড়াও হয়। তারা নানারকম বিধিনিষেধ আরোপ করতে থাকে, কিন্তু মানুষের বেঁচে থাকা, সৃষ্টি এবং বিনোদনের জন্য যা প্রাণের ধর্ম তা থেকে বিরত থাকার নিষেধাজ্ঞার ফলে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে এবং মৌলবাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মৌলবাদ তার নৃশংসতা বৈশিষ্ট্যের কারণে রক্তপাতে মেতে ওঠে। ধর্মীয় মৌলবাদ এজন্য পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় অচল। তাহলে তাদের এতো পোয়াবারো কেন? কারণ যে বুর্জোয়া শ্রেণি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে, তারা এই মৌলবাদী গোষ্ঠীকে নিজেদের কাজে ব্যবহারের জন্য হাতে রাখে, বিনিময়ে তাদের দেয় নানা সুযোগ-সুবিধা। সুযোগ-সুবিধা কম হলেই তারা মাঝে মাঝেই ক্ষেপে ওঠে, মালকড়ি পেলেই চুপ থাকে। তবে মৌলবাদী রাজনৈতিক দলের কথা ভিন্ন, দল হিসেবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে তাদের পড়তে হয় দুই ধরনের সমস্যায়, তারা বুর্জোয়া দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পারে না এবং দেশের মৌলবাদী গোষ্ঠী তাদের শর্তহীন সমর্থনও দেয় না।

তারা দুই নৌকায় পা দিয়ে রাখে, তবে তাদের পা থাকে সুযোগ সুবিধার পরিমাণের দিকে। যদি মৌলবাদী রাজনৈতিক দল তাদের সুবিধা বাড়িয়ে দিতে পারে এইমাত্রায় যা বুর্জোয়াদের চেয়ে বেশি, তাহলে তাদের গলা উপরে ওঠে এবং বুর্জোয়াদের সংগে দল কষাকষিতে মেতে ওঠে। এই উভয় প্রকার শক্তির বিরুদ্ধে যে প্রগতিশীল অংশ- বাম গণতান্ত্রিক শক্তি- লড়াই করে, তাদের শত্রু দুটি- বুর্জোয়া, বিশেষ করে তাদের মৌলবাদ তোষণের জন্য ও শোষণকারী হিসেবে এবং মৌলবাদী রাজনৈতিক দল। তাদের লড়াই তাই খুবই কঠিন এবং জয়লাভ সময় সাপেক্ষ। তবে তাদের মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সুবিধা বুর্জোয়ারা ভোগ করে এবং বাম গণতান্ত্রিক শক্তি এখানে কিছুটা অবলিগেটেড হয়ে পড়ে। এই অবস্থাকে অতিক্রম করতে দলীয় ক্ষমতা এবং জনগণের সঙ্গে মৈত্রী গড়ার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের মানুষ এই গ্যাঁড়াকলে নিপতিত। প্রকৃত মুক্তির জন্য মৌলবাদী ও বুর্জোয়াদের বিরুদ্ধে লড়াই তীব্রতর করা ছাড়া গণতান্ত্রিক শক্তির অন্য কোনো পথ খোলা নেই। বলে রাখি- মৌলবাদী গোষ্ঠী কিংবা তাদের রাজনৈতিক দলের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল কখনোই সম্ভব হবে না এই দেশে। কারণ এর ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পুঁজিবাদ এবং শক্তিশালী গণতান্ত্রিক শক্তি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়