শিরোনাম
◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ ঢাকায় হবে এশিয়া কাপের সভা, ভারত অংশ নে‌বে না ◈ এবার যে কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড. ফয়জুল হক

প্রকাশিত : ০৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:৫৭ সকাল
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রফিকুল ইসলাম রফিক: ভাস্কর্য আর মুক্তির পথ

রফিকুল ইসলাম রফিক: সাপের লেজ দিয়ে কান চুলকানোর আরাম নিলে সাপের ছোবল কপালে জুটবেই একদিন এটাই পরম সত্য। খেলাফত-হেফাজত বা এদের মতন কাউকে দলে টেনে ওদের চরিত্র বদলানো যাবে না ,ওরা দিন শেষে ওদের মতই কাজ করবে, নৌকা ফুটো করে দিয়ে নদীর ওপারে গিয়ে উঠবে।

কোনোদিনই এরা আওয়ামী বা তার সহযোগী কোনো দলকে ভোট দেয়নি বা পছন্দ করেনি- এটা আওয়ামী পন্থীরা বুঝে কিনা জানি না। মোল্লা অধুষ্যিত দলের মানুষগুলোর আল্টিমেট পছন্দ তাদের মতোই চরম তালেবানি মতাদর্শের কাছাকাছি বা তালেবানদের আদর্শ বাস্তবায়নের পথ সুগম হয় তাদের, এমনকি তাবলিক জামাতের যারা (যাদের আমরা খুব মডারেট ভাবি) তারাও শেষ পর্যন্ত মৌলবাদী গোষ্ঠীর ধারক বাহকদের বাছাই করে নেয়।

আমাদের দেশের অনেক প্রগতিশীল ধ্যান-ধারণার লোকেদের মাঝেও এদের জন্যে সহমর্মিতা দেখা যায়, কারণ এরা নাকি আমেরিকা সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে ধ্বংস করে দিতে পারবে, যেমন তালেবানেরা নাকি সত্যিই পেড়েছে আমেরিকাকে তাড়াতে। কিন্তু তারা কি জানে যে ভাগাড়ের বুকে অনেক কলমি ভুল ফুটে কেউ কি তা দেখতে বা তুলতে যায়? তালেবানেরা আমেরিকাকে তাড়িয়ে যদি ফুল বাগান বানাতো তাহলে বর্তে যেতাম, কিন্তু তারা কি করেছে? তারা হাজার বছরের আফগান ঐতিহ্যের পাহাড়ের গায়ে খোদাই করা ভাস্কর্যগুলো ভেঙে দিয়েছে গ্রেনেড মেরে। এরা এখন নয় বছরের বালিকাকে বিয়ে করে চল্লিশ বছরের দামড়া বুড়ো আর ঘেটু বানিয়ে বলাতকারের বৈধতা দিয়ে রেখেছে সমাজে।

ধর্মে মাঝামাঝি বলে কোনো জিনিস নেইÑ ধর্ম কায়েম করতে বলা হয়েছে সেটা ব্যাক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনে পূর্ণতা দিয়ে। আপনি কাস্টমাইজ করে নিলে তখন আর তা ধর্ম থাকে না- তাকে বলে সুবিধাবাদিতা। আর এই সুবিধাবাদিতার সংখ্যাই বেশি বা গরিষ্ঠ মানুষ বা বাংলাদেশি। ইসলাম কি ভাস্কর্যকে সমর্থন করে নাÑ যদি সেটা সহিহ ইসলাম হয়? অর্থাৎ যদি না তা কাস্টমাইজড ইসলাম হয়, যেমন তুরস্কের ইসলাম, ইরানের ইসলাম আর সোউদির ইসলাম বা তালেবানিদের ইসলাম যেমন এক নয়। চেতনার জায়গায় ইসলাম তাই মৌলবাদীতার কথাই বলে এবং তার ব্যাখ্যা হাজার দল হাজার রকম করেই দেবে।

তাই ইসলাম থাক মানুষের অন্তরে, করুক তা পালন আপন প্রাণে। আপনি রাষ্ট্র, সকলকে কাজের সুযোগ দিন, কাজ করতে দিন। আপাত সমাধানের পথ কি? সেটা হচ্ছে, সকল কওমি মাদ্রাসা-হেফজখানা-এবতাদিয়া-আলেম মাদরাসা (শিক্ষালয়) গুলোতে বৃত্তিমূলক শিক্ষা আবশ্যকীয় করে দিন, অহেতুক শ্রম- সম্পদ নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। কওমি মাদ্রাসা-হেফজখানা-এবতাদিয়া-আলেম মাদরাসার লক্ষ লক্ষ শিশু অকর্মন্য হয়ে বড় হচ্ছে রাষ্ট্রের জন্য, এটা কি রাষ্ট্রের দুর্বলতা নয়? অথচ অন্যদিকে এককোটি পোশাক শ্রমিক কাজ করে দেশে সম্পদ যোগান দিয়ে যাচ্ছে। কাজে নিয়োজিত হলে এই ধর্মান্ধ গোষ্ঠী কেউ আর ভাস্কর্য নিয়ে মাতামাতি করবে না।

লেখক: আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়