শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৫:২৫ সকাল
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৫:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার কালো হাত গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে, বললেন প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা

ডেস্ক রিপোর্ট : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য দেশে আছে, থাকবে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তি যুদ্ধের চেতনার উপর আঘাত জনগণ মেনে নেবেনা। যে ষড়যন্ত্রকারী ও কুচক্রীরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে তাদের কালো হাত গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের সমুচিত জবাব দেয়া হবে।

তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর আঘাত হেনেছে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে হলেও শাস্তি দিতে হবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা সোমবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভবেরচর বাস স্ট্যান্ডে ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর সম্মুখ যুদ্ধের শহিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত “বীর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে’’ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে শহিদদের স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

 

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা ৭ ডিসেম্বর সম্মুখ যুদ্ধের ঘটনা ও স্মৃতি উল্লেখ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভবেরচর ও দাউদকান্দি এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা গজারিয়ার পৈক্ষারপাড় গ্রামে আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। তখন থেকেই আমার (প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা) ছোট ভাই মতিউর মুক্তিযোদ্ধাদের সান্নিধ্যে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। আগেই খবর ছিল, পাক আর্মিরা ভবেরচর ও আশেপাশের গ্রামে হামলা চালাবে। তখন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা মতিউরসহ আরো অনেকে খাবার ও ফলের ঝুঁড়িতে বোমা নিয়ে ভবেরচর ঈদগাহ ব্রিজ উড়িয়ে দিতে আসে। এরপর পাক আর্মির সাথে সম্মুখযুদ্ধে এই মহাসড়কে ১২ জন কিশোর শহীদ হয়। তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ২০১৯ সালে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। যা নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেবে ও শহিদদের বীরত্বগাঁথা তুলে ধরবে।

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদারে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম, যুদ্ধকালীন থানা কমান্ডার মো. রফিকুল ইসলাম বীর প্রতীক, গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তালেব ভূইয়া ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুন নাহার শিল্পী। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলার বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃত্ববৃন্দগণ।

স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, গজারিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহিদ পরিবার, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

অনুষ্ঠান শেষে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর গজারিয়ার ভবেরচর ঈদগাহ ব্রিজ সম্মুখ যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা ১২ জন শহিদ হন।
সূত্র-কালেরকণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়