শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:২৭ দুপুর
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লুৎফর রহমান হিমেল: ম্যারাডোনা, সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার এই বিপ্লবীকে পৃথিবী কখনো ভুলবে না

লুৎফর রহমান হিমেল: তিনি ক্ষিপ্রগতির ছিলেন। লাতিন ছন্দে বাহারি সব ড্রিবলে একে একে টপকে গেছেন বিশ্বের ঝানু ঝানু ডিফেন্ডারদের। এ যেন তাজি ঘোড়ার বিজলী চমকে ছুটে চলার এক পাল্লা। সেই গতির খেলায়, কৌশলের ঝলকানিতে একে একে সবাইকে পেছনে ফেলে ছুটে গেছেন তার অভীষ্ট লক্ষ্যে। মারাদোনা। শুধু মৃত্যুকেই ড্রিবল করতে পারলেন না। তিনি জানতেনও এই রেসে তিনি পেরে উঠবেন না একদিন। আর তাই জীবনকে তিনি যাপন করতে শুরু করেনিজের মতো করে। জীবনটাকে সাজিয়েছিলেন আপনার মতো করে। জীবনটাকে তিনি যাপন করে গেছেন, জীবন তাকে যাপন করতে পারেনি কখনো।
খেলাকে তিনি মিশিয়ে দিয়েছিলেন রাজনীতির সঙ্গে। ফুটবল মাঠকে বানিয়েছিলেন যুদ্ধের মাঠ। তিনি মনে করতেন, খেলা শুধু খেলা নয়, যুদ্ধও। এভাবে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদকে সপাটে কিক মেরে গেছেন বরাবর। কী পরাক্রমশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কী ইউরোপ কারও চোখ রাঙানিই তাকে দমাতে পারেনি। কারণ তিনি দেশাত্ববোধকে সবার ওপরে স্থান দিয়েছিলেন। দরিদ্রদের পক্ষ নিয়েছিলেন। এ কারণেই বিপ্লবী চে ফিদেলের অনুসারী হয়েছিলেন তিনি। দুর্বল আর মজলুমের পক্ষে সদা সোচ্চার থাকাকে তিনি জীবনের ব্রত মনে করতেন। খেলা নিছক তার কাছে খেলা ছিলো না, ছিলো প্রতিবাদ,প্রতিরোধেরও অস্ত্র।

নিজেদের প্রিয় দ্বীপটি ব্রিটিশরা যখন জবরদখলে নিল, সেটা মানতে পারেননি তিনি। খেলার মাঠে ১৯৮৬-র বিশ্বকাপে সেই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তিনি নেমেছিলেন মরনপণ বাজি রেখে। তার কাছে ফুটবল তখন হয়ে উঠেছিলো সবচে বড় অস্ত্র। সেই অস্ত্রটা সেই আসরে তার মতো করে আর কেইবা চালাতে পেরেছে? আবেগহীন মানুষ হয় জড়ো পদার্থ, নাহয় ফেরেশতা। দিয়েগো ছিলেন পরিপূর্ণ আবেগী এক মানুষ। এই আবেগ ছিলো দেশপ্রেমের। এই আবেগ ছিলো বিশ্বের নিপীড়িত মানুষদের জন্য বিজয়ের কাঙ্খার।

এভাবে দিয়েগো আরমান্দো মারাদোনা শুধু একজন দক্ষ ফুটবলারই নয়, একজন বিপ্লবী হিসেবেও বিশ্বের কোটি হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। আর তাই তিনি বিশ্ববাসীর হৃদয়ে রয়ে যাবেন যুগ থেকে যুগান্তরে। প্রজন্মের পর প্রজন্মান্তরে। ক্ষ্যাপা এই ফুটবলারটিকে, নিপীড়িতের জন্য হাহাকার করা এই মানুষটিকে, সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার এই বিপ্লবীকে পৃথিবী কখনো ভুলবে না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়