তাপসী রাবেয়া, ফরহাদ আমিন: [২] বৃহস্পতিবার সকালে উখিয়া কুতুপালং ট্রানজিট থেকে প্রথম ধাপে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশ্যে ২১টি বাসে স্বেচ্ছায় যাত্রা শুরু করেছেন শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গারা। বিবিসি বাংলার হিসেবে এদিন ১ হাজার রোহিঙ্গা যাত্রা শুরু করেছেন। প্রথম ধাপের তালিকায় রয়েছেন ৩০০ পরিবারের মোট আড়াই হাজার রোহিঙ্গা।রাতে চট্টগ্রামে অবস্থানের পর শুক্রবার জাহাজে করে যাত্রা শুরুর কথা রয়েছে।
[৩] প্রতি বাসে ৩০-৪৫জন রোহিঙ্গা ছিলেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। বাসগুলোর সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মালবাহী কাভার্ডভ্যানও ছিল ১০ টির বেশি।
[৪]এদিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নিয়ে যেতে প্রস্তুত নৌবাহিনীর ১২টি ও সেনাবাহিনীর ১টি জাহাজ। এরইমধ্যে ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় আগ্রহী রোহিঙ্গাদের জন্য মজুদ রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।
[৫] সালামত উল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা জানিয়েছেন কক্সবাজারে খুব কষ্টের জীবন যাচ্ছিল। তাই উন্নত জীবনের আশায় স্ত্রী ও সন্তাদের নিয়ে সেখানে চলে যাচ্ছি। নিজেদের ইচ্ছাতেই যাচ্ছি আমরা।
[৬] নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা বলেন, ‘কক্সবাজারের শরাণার্থী শিবির থেকে বৃহস্পতিবার-শুক্রবার রোহিঙ্গাদের একটি অংশ ভাসানচরে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। আমাদেরও সেভাবে প্রস্তুতি রয়েছে।
[৭] ভাসানচরে প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে যাওয়া রোহিঙ্গাদের রাখা হবে ৫ থেকে ১১ নম্বর ক্লাস্টারে। তিন মাসের মজুদ সক্ষমতার খাদ্য গুদামে প্রস্তুত রয়েছে ৬৬ টন খাদ্যপণ্য। তবে প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করবে আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার।
[৮]এদিকে, রোহিঙ্গাদের জীবন যাপন নির্বিঘ্ন করতে আগেই ভাসানচরে পৌঁছেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় আড়াইশ সদস্য এবং ২২টি এনজিওর কর্মকর্তারা। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু