সাবরীন জেরীন: [২] প্রকৃতিতে শীতের আমেজ। বাতাসে এখন হিমের ছোঁয়া। ঋতু অনুযায়ী শীতের প্রকোপ এখনও আরো বাকি। হাঁটি হাঁটি পা-পা করে এগিয়ে আসছে শীত। শীতবরণে শহরবাসী ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছে। লেপ-তোশকের চাহিদা বেড়েছে। গরম কাপড় ইতোমধ্যেই কেনা শুরু করে দিয়েছেন মানুষজন।
[৩] বিশেষ করে শিশুদের জন্য গরম কাপড় কেনা শুরু হয়েছে। শহরের ফুটপাত গুলোতে বিক্রি বেড়েছে শীতের পোশাকের। তীব্র প্রস্তুতি হিসেবে গরম কাপড় কিনছেন এমনটিই বলছেন বিক্রেতারা। ক্রেতাদের মতে, বড়দের থেকে শিশুদের কাপড়ের দামটা একটু বেশি।
[৪] বিক্রেতারা দাম বেশি চাইছেন। তবে বিক্রেতারা বলছেন, করোনার কারনে শীতের গরম কাপড়ের এমনিতেই দাম গত বছরের চেয়ে একটু বেশি। শিশুদের গরম কাপড় তাই একটু বেশি দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে, শুধু ফুটপাতই নয়, শহরের মাঝারি ও অভিজাত বিপণিবিতান গুলোতে শীতের প্রস্তুতি হিসেবে আগেভাগে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
[৫] মাদারীপুর শহরের আদালত চত্বর, পুরানবাজার প্রধান সড়ক, আমিন সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, সিটিসুপার মার্কেট থেকে শুর করে পুরান বাজার বড় মসজীদের শেষ মাথা পর্যন্ত পুরো গরম কাপড়ের হরেক রকমের পোশাকের দোকানে ছেয়ে গেছে। তবে শিশুদের গরম কাপড়ের দাম নিয়ে সন্তুষ্ট নন ক্রেতারা।
[৬] ফুটপাত ব্যবসায়ী কামাল মিয়া জানান,গত কয়েকদিনে বড়দের পাশাপাশি বাচ্চাদের পোশাকের বিক্রিও অনেকটা বেড়ে গেছে। বাচ্চাদের শীতের পোশাকের চাহিদা অনেক বেশি।
[৭] নতুন বাসস্টান্ট এলাকার এক ক্রেতা আবু জুবায়ের জানান, গতবারের চেয়ে এ বছর শীতের কাপড়ের দাম অনেক বেশি। দাম আর একটু কম হলে ভালো হতো। তবে এখনো সেই রকম শীত না পড়ায় ভালো মানের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে না।
[৮] পুরান বাজার নিউ মার্কেটের আলম গার্মেন্সের মালিক বি এম শাহ-আলম জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন মার্কেট প্রায় ক্রেতাশূন্য ছিল। গত দু-তিন দিন ধরে জ্যাকেট, সোয়েটার,ফুলহাতার সার্ট,জিঞ্চপ্যান্ট কিনতে ক্রেতারা আসছেন। বেচাকেনাও বেশ ভাল। শিশুদের শীতের কাপড়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। শীতের শুরুতে বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে। তবে করোনা ভাইরাসের কারনে পাইকারী মার্কেটে কোন ভালো পোশাক না থাকায় দামে তুলুনামূলক ভাবে গতবছরের চেয়ে একটু বেশি।
[৯] নবজাতক ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সাদেক আহম্মদ বলেন, ফুটপাত থেকে বড়দের বা ছোটদের যেকোনো পোশাক কেনার পর সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে পরাতে হবে। কারণ কেনার পর সরাসরি এসব জামাকাপড় পরলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ, এলার্জি, ফুসফুসের রোগব্যাধির শঙ্কা থাকে। সবচেয়ে বড় কথা, অনেক ক্রেতা এসব কাপড় হাত দিয়ে ধরেন, তাই ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে মা-বাবাসহ অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী