শাহ্ আলী ফরহাদ: অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছি। আর দরকার নেই। ভদ্রতা কে দুর্বলতা ভাবার ভুল করছে অনেকে। আমরা তো দেখছি পৃথিবীর সকল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশেই ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের ভাস্কর্য আছে তাই না? ধরে নিলাম পৃথিবীর একটা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশেও ভাস্কর্য নেই। তাও বাংলাদেশে জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে কথা তোলার অধিকার নেই কোনো ভন্ড বা ধর্ম ব্যবসায়ীদের। বা অন্য কোনো ঐতিহাসিক মানুষ বা ঘটনার ভাস্কর্য বা অন্য কোনো শিল্পকর্ম নিয়েই তাদের মামার বাড়ির আবদার করার কোনো অধিকার নেই। হাজার বছর ধরে রাষ্ট্রবিহীন, অভিভাবকবিহীন থাকা বাঙালিদের যিনি একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন, পৃথিবীতে মাথা তোলে দাঁড়ানোর সুযোগ দিয়েছেন, তার জন্মশত বার্ষিকীতে, তার ১০০টা ভাস্কর্য করলেও মামুনুল, বাবুনগরী বা চরমোনাই, যাই বলুক না কেন কিছুই আসে যায় না। আমি সরকারের, দলের বাইরেও একজন নাগরিক এই দেশের।
ফ্রি খাইয়ো না, প্রত্যেক মাসের শেষেই এ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স সরকার কেটে রাখে। এই দেশের জন্মসূত্রে একজন নাগরিক হিসেবে এই দেশেরই সংবিধানের পক্ষে কথা বলতে আমার কোনো বাইরের দেশের উদাহরণ টানতে হবে না। আমাদের সংবিধানে পরিষ্কার বলা আছে আমরা একটি ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক দেশ। সেই অসাম্প্রদায়িক দেশে, কয়েকজন সাম্প্রদায়িক ধর্ম ব্যাপারীদের বক্তব্যের কারণে রাষ্ট্রের মূলনীতি পাল্টাতে পারে না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এইসব ব্যাপারীরা নিজেদের মতন ভন্ড বাদে কারোই প্রতিনিধিত্ব করে না। সাধারণ শান্তিপ্রিয় মুসলিম বা অমুসলিম নাগরিকদের সময়ই নেই এইসব নিয়ে মাথা ঘামানোর। কারণ তারা তো ফ্রি খায় না, জীবনযুদ্ধেই ব্যস্ত তারা। এই বিষয়ে এটাই আমার শেষ বক্তব্য। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। ফেসবুক থেকে