সুজন কৈরী : পুলিশ পরিচালত জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী একজন যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে গাজীপুরের শফিপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে ৩০ বছর বয়সী ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ।
৯৯৯ এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় ৯৯৯ এ আনুমানিক ৩০ বছরের একজন যুবক ফোন করে জানান, তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যার জন্য অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ সেবন করেছেন। এখন তিনি ভুল বুঝতে পেরেছেন, বাঁচতে চান। তিনি আরও জানান, তার শরীর ধীরে ধীরে খুব খারাপ হচ্ছে। তিনি একটি মেসে থাকেন এবং এতো রাতে তাকে হাসপাতালে নেয়ার মতো কেউ নেই। এছাড়া তার কাছে কোনো টাকাও নেই। যুবক তার জীবন বাঁচাতে ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানান। ৯৯৯ কলারের কাছ থেকে তার অবস্থান জানতে পারে গাজীপুরের শফিপুরের গোমতী টেক্সটাইল সংলগ্ন একটি মেস বাড়ি।
৯৯৯ তাৎক্ষণিক কলারের সঙ্গে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম দ্রæত কলার যুবকের মেস বাসায় যায়।
রোববার ভোর সাড়ে ৪টায় কালিয়াকৈর থানার এএসআই আজাদ ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তিনি মেস বাসা থকে কলারকে অর্ধচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির কাছে পপুলার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে দ্রæত তার পাকস্থলী পরিষ্কার করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, যুবক আশঙ্কামুক্ত। পুলিশের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবস্থানরত যুবকের বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ভোরে প্রথম গাড়ীতে করে ঢাকায় আসবেন।
আনোয়ার সাত্তার জানান, পরে ৯৯৯ থেকে এএসআই আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আজাদ জানিয়েছেন, আত্মহত্যার চেষ্টাকারী যুবক সুস্থ আছেন এবং তার বাবাও গাজীপুর পৌঁছেছেন। যুবক তার জীবন বাঁচানোর জন্য ৯৯৯ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।