স্পোর্টস ডেস্ক : [২] করোনাভাইরাসের আঘাতে পুরো বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। অতি সংক্রামক এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সবখানে। তবে, ম্যারাডোনার প্রতি আর্জেন্টাইনদের ভালোবাসার কাছে মরণভয় যেন তুচ্ছ। কিংবদন্তিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বুয়েন্স আইরেসের রাস্তায় নেমে এসেছে হাজারো আর্জেন্টাইন। আর্জেন্টিনা মানেই ম্যারাডোনা, ম্যারাডোনা মানেই আর্জেন্টিনা-তাদের মাতমে সেটাই যেন আরও একবার নতুন করে প্রমাণ হলো।
[৩] কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে বুধবার মারা যান ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত ম্যারাডোনা। ভক্তদের কাছে যার পরিচয় ‘ফুটবল ঈশ্বর।’ বৃহস্পতিবার কাসা রোসাদার প্রেসিডেন্সিয়াল ভবনে রাখা হয় ম্যারাডোনার মৃতদেহ। তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে হাজির হন ভক্তরা। হাতে গোলাপ নিয়ে প্রাসাদের ভেতরে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা ৫২ বছর বয়সী চাকরিজীবী মার্সেলো গাদেস যেমন এখানে না আসার কোনো কারণ দেখছেন না।
[৪] এখানে তো থাকতেই হবে। এই সময় এখানে না আসার তো কোনো কারণই নেই। ম্যারাডোনাও এমনই, নিয়ম মানে না। সব ভালো ও সব খারাপ মিলিয়েই আর্জেন্টিনা মানেই ম্যারাডোনা, ম্যারাডোনা মানেই আর্জেন্টিনা।
[৫] আর্জেন্টিনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ। মারা গেছেন ৩৭ হাজারের বেশি। দেশটির সরকার গত মার্চে কঠোর লকডাউন দিয়েছিল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও ভ্রমণে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
[৬] প্রাসাদের প্রবেশপথের মুখে অবশ্য স্যানিটাইজার সরঞ্জাম রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। সেখানে লোকজন মিছিল করছিল, অনেক সমর্থক প্রবেশপথের সামনে ভিড় করেছিল। কেউ কেউ আবার মাস্ক ছাড়াই গান গাইছিল এবং পান করছিল। এখান থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখছেন আর্জেন্টিনার ৫৫ বছর বয়সী চিকিৎসক আলবের্তো উগালদে।
[৭] ম্যারাডোনাকে বিদায় জানাতে এত মানুষের একত্রিত হওয়াটা কোভিড-১৯ সরাসরি সংক্রমণের একটি উৎস। রাস্তায় লোকেরা ভিড় করছে, এমনকি অনেকে মাস্ক ছাড়াই এসেছে। তাদের কষ্ট আমি বুঝতে পারছি, তিনি আমাদের আইডল। কিন্তু স্বাস্থ্যের ঝুঁকিও তো অনেক বেশি। - বিডিনিউজ/ এএফপি
আপনার মতামত লিখুন :