মাছুম বিল্লাহ: [২] ভারতের প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য আসামের টানা তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
[৩] মঙ্গলবার আসামের গুয়াহাটিস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনে পাঠানো এক শোক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
[৪] গুয়াহাটির বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনার ড. শাহ মুহাম্মদ তানভীর মনসুর এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ‘শোক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্ষীয়ান রাজনীতিক তরুণ গগৈকে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যবসা ও বাণিজ্যে বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন।’
[৫] আসামের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকা গগৈয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে বুধবার সহকারি হাইকমিশনার তানভীর মনসুর লিখেছেন, ‘বিদায় বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু। ওপারে ভালো থাকুন।’
[৬] ভারত-বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত চুক্তিসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে সহযোগিতাকারী তরুণ গগৈ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুতে নিয়মিত যোগযোগ রাখতেন। আসামের এনআরসি ইস্যুতে তিনি বাংলাদেশের বিব্রত হওয়ার বিষয়টি অনুধাবন করেছিলেন। গত বছর তিনি বিষটি নিয়ে বলেছিলেন, এনআরসি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে চিড় ধরবে।
[৭] আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার শীর্ষনেতাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর পদক্ষেপের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন তরুণ গগৈ। তিনি বলেছিলেন, ‘উলফার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার পদক্ষেপের কারণে আজ আসামে শান্তি বিরাজ করছে।’
[৮] তরুণ গগৈ অগাস্টে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসা শেষে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও কয়েকদিন পরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ফের হাসপাতালে ভর্তি হন জোরহাট ও কালিয়াবর থেকে ৬ বার লোকসভায় যাওয়া এ সাংসদ।