নূর মোহাম্মদ : [২] সোমবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ, এস, এম আব্দুল মোবিনের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রাসেলের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম. মাসুদ রানা, মো.আসাদ উদ্দিন ও মোহাম্মদ নোয়াব আলী।
[৩] ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সওদা (১৯) বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ঘটনার দিন হত্যাকাণ্ডের শিকার সওদার মা সাহিদা বেগম বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল মিয়া (২২) সহ অজ্ঞাতনামা দুই/তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
[৪] এজাহারে মা উল্লেখ করেন তার মেয়ে ও রাসেলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পারিবারিক কারণে সাওদা রাসেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ফলশ্রুতিতে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
[৫] ২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ আসামি রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করে। একই দিনে আসামি রাসেল মিয়া ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা রাসেলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
[৬] বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৫ সালের ১ জুন আদালত রাসেল মিয়াকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। রায়ের বিরুদ্ধে আসামি হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়ের করেন। অপরদিকে ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য নথি পাঠানো হয় উচ্চ আদালতে।
[৭] গত বছরের ৯ মে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল শুনানি শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :