কামাল আহমেদ : একাধিক সাংবাদিক যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। রাজনীতিতে তাদের সরাসরি অংশগ্রহণ একটা ভালো অগ্রগতি। তবে এখন অন্যদের কাজ হবে তাদের লেখা কিংবা বক্তব্য প্রচারের সময়ে দুটো পরিচয় পরিষ্কার করে তুলে ধরা।
সাংবাদিকরা রাজনীতি করতে পারবেন না, তা তো হয় না। এটা প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার। তবে তখন আর তিনি নিরপেক্ষ নন এবং তার খবর পরিবেশন ও বিশ্লেষণে পক্ষপাত প্রত্যাশিত। তাই পাঠক-দর্শকদের তা জানানো সম্পাদকীয় দায়িত্ব।
অন্য দেশেও সাংবাদিকরা দু-চারজন রাজনীতি করেন না, তা নয়। ভারতে এমজে আকবর একসময় কংগ্রেস করতেন, এখন বিজেপি। স্বপন দাস গুপ্ত আগাগোড়া বিজেপি। তারা দলের পদাধিকারী।
ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অর্ধেক পরিচয় সাংবাদিক। আমার তো মনে হয়, টিভিতে যারা দলান্ধ কথাবার্তা বলেন, তাদেরও উচিত ভন্ডামি ছেড়ে দলীয় পরিচয় ঘোষণা করা। (আমাদের নির্মল সেন, আনোয়ার জাহিদ, সিরাজুল হোসেন খান, শফিকুল আজিজ মুকুল এবং ফকির আব্দুর রাজ্জাকের নাম এক্ষেত্রে স্মরণ করা যায়। মুকুল ভাই এবং ফকির রাজ্জাক ভাই যুবলীগেই বড় নেতা ছিলেন।)