শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০২০, ০৮:১৫ সকাল
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০২০, ০৮:১৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলচ্চিত্রের অতীত বাণিজ্য এখন শুধুই স্মৃতি

ইমরুল শাহেদ : পঞ্চাশের দশকে যখন ঢাকার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু করে তখন যারা শুরু করেছিলেন তাদের বলা হয় প্রারম্ভিক তারকা। ষাটের দশকে যখন চলচ্চিত্রশিল্প পল্লবিত হতে শুরু করে তখন অনেকেই যুক্ত হয়েছেন এই শিল্পের সঙ্গে। শিল্পের বিস্তার ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তাতে বড় ধরনের বিনিয়োগের বিষয়টিও এসে দাঁড়ায়। উর্দু ও হিন্দি ছবির দাপটের মুখে ১৯৫৬ সালে মুখ ও মুখোশ দিয়ে এদেশে চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয়। তারপর অনেক ছবি নির্মিত হলেও সেগুলো বাণিজ্যিক সাফল্য আনতে পারেনি। প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে চলে গিয়েছিল চলচ্চিত্রশিল্প। এগিয়ে এলেন গ্রামোফোন কোম্পানির মালিক সালাউদ্দিন। তিনি বললেন, ‘আমাদের মেরুদন্ড হলো যাত্রাপালা।

আমাদের হেমন্ত নেই, সুচিত্রা-উত্তম নেই। কিন্তু আমাদের আছে রুপবান।’ এই ছবিটির মধ্য দিয়েই চলচ্চিত্রশিল্প ঘুরে দাঁড়ায়। এরপর আর এই শিল্পকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারতীয় হিন্দি-বাংলা ছবি বন্ধ হয়ে যায়। বিস্তার লাভ করে উর্দু ছবির বাজার। তার মধ্যে কয়েকজন চিন্তাশীল ও প্রতিভাবান নির্মাতার কারণে বাংলা চলচ্চিত্র শিরদাড়া সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর প্রতি দশকেই একাধিক ছবি বাণিজ্য সফল হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রথম মুক্তি পাওয়া মানুষের মন ছবিটি ব্যাপকভাবে ব্যবসা না করলেও রংবাজ ছবিটি ব্যাপকভাবে সফল হয়।

এই প্রথম ঢাকার চলচ্চিত্র রোমান্টিক ঘরানা থেকে বেরিয়ে মারপিট ঘরানায় প্রবেশ করে। মারপিট ধারার চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হয় ফ্যান্টাসী। নির্মিত হয় সওদাগর, আবে হায়াৎ, নরম-গরম। এসব ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের বিনিয়োগ প্রসারিত হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় নির্মিত হয় বেদের মেয়ে জোসনা। এই দেশের চলচ্চিত্র ব্যবসায় এই ছবিটি একটি মাইল ফলক হয়ে আছে। নব্বুই দশরেক চাঁদনী, স্বপ্নের ঠিকানা, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, সত্যের মৃত্যু নেই ছবিও মাইলফলক হয়ে থাকবে।

তবে এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে কুলি ও ভন্ড ছবির নাম। ঢাকার চলচ্চিত্রশিল্পের ইতিহাসে কেবল এ দুটি ছবিই সপ্তাহের সব গুলো শো হাউজফুল ছিল। তারপর একটা বড় ধরনের গ্যাপ ছিল। এবার এলো মনপুরা। ছবিটি ব্যাপকভাবে ব্যবসা সফল হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চলচ্চিত্র বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য ঝাঁকুনি দেয় আয়নাবাজি ছবিটি। এছাড়াও বাণিজ্যিক তালিকায় রয়েছে শিকারি ও প্রিয়া আমার প্রিয়া। এখনকার চলচ্চিত্র বাজার এতো তলানিতেই চলে গেছে যে, সেটা উল্লেখ করাও কষ্টদায়ক। বিনিয়োগের অভাবে এখন চলচ্চিত্রশিল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সেখান থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা হচ্ছে। অতীতের উল্লিখিত এই চলচ্চিত্র বাণিজ্য এখন সকলের কাছে শুধুই স্মৃতি।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়