মহিউদ্দিন আহমেদ : বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০ দুপুর থেকে আরএফএল ফার্নিচারের একটি বিজ্ঞাপন ৩ বার দেখে আমার চোখে ৩ বার পানি এসেছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটি একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেবে, কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধাকেও খুঁজে পাচ্ছে না। তখন স্কুলের প্রবীণ ঘণ্টা বাজানো দপ্তরি রশীদ মিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম বলেন, যার সঙ্গে রশীদ মিয়া মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
পরের দৃশ্যে দেখা যায়, স্কুল কমিটি রশীদ মিয়াকেই সংর্বধনা দিচ্ছে, আর রশীদ মিয়া যে ওয়াদাটা অপারেশনে যাওয়ার আগে মুষ্টিবদ্ধ হাত প্রসারিত করে নিতেন, তিনি তার এই সংবর্ধনায়ও সকলকে নিয়ে নিচ্ছেন। বিজ্ঞাপন, কিন্তু কতো গভীর একটি বার্তা এই বিজ্ঞাপনে।
এমন দেশাত্মবোধক একটি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য আরএফএলকে ধন্যবাদ। ব্যবসার মধ্যেও যে দেশপ্রেম প্রকাশ করা যায় এটি তার একটি উদাহরণ। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে এমন উদাহরণ আকসার দেখেছি। কিন্তু আমাদের এই দেশটির লুণ্ঠনকারী ব্যবসায়ীরা লাভ এবং পাওয়ারকে যে পেট্রিওটিজমের ওপর স্থান দেয়, লাভ এবং পাওয়ারেরই যে বেশি প্র্যাকটিস করে।