শাহীন খন্দকার : [২] সবুজ শ্যামল শস্য সুফলা বাংলার মুখ । সেই বাংলার ঘরে ঘরে এখন আমন ধানের সুখ বয়ে যাচ্ছে। শস্যভাণ্ডারখ্যাত বাংলার প্রতিটি গ্রামে বিলের ধান কাটছে কৃষক। সারাদেশের মাঠজুড়ে দুলছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। চলতি বছর দফায় দফায় দীর্ঘমেয়াদী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সেই কৃষকের মুখে হাসি এনেছে আমন ধানের ফলন। ইতিমধ্যে রোপা আমন ধান কাটাও শুরু হয়েছে।
[৩] নেত্রকোনার কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এই জেলায় রোপা আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।এবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আমন ধানে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। তবে ধানকাটা শ্রমিক সংকট না হলে আগামী মাসের প্রথমেই কৃষকেরা ধান ঘরে তুলতে পারবে বলেও আশা করছে কৃষি অধিদপ্তর।
[৪] সরেজমিনে দেখা গেছে, নেত্রকোণা জেলার দূর্গাপুর উপজেলায় সাধারণ শ্রমিকদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃতাত্বিকগোষ্ঠীর নারী-পুরুষেরাও দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে মাঠে মাঠে ধান কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত পনের দিনে ১০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।
[৫] উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা যায়,পাঁচবারের বন্যায় জেলার প্রায় কয়েক হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। তবে এবার তাদের জমির আবাদ ভালো হয়েছে।
[৬] এদিকে সিরাজগঞ্জ জেলার চলনবিলসহ এই জেলার ৩ হাজার ৪০৬ হেক্টর জমির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলার ৯টি উপজেলা এবার রোপা আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৬৯ হাজার ২৫০ হেক্টর ধরা হয়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী বন্যার কারণে লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হয়। শেষ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪০৬ হেক্টর জমিতে রোপা-আমনের চাষাবাদ হয়।
[৭] বন্যার কারণে জেলার উপজেলাগুলোতে ৮৪৪ হেক্টর জমিতে আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এবার ফলন বেশ ভালো হয়েছে। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) আবু হানিফ বলেন, ‘এবার পাঁচবারের বন্যার কারণে লক্ষ্যমাত্রার কিছুটা কম আবাদ হয়েছে। তারপরও বন্যা ছাড়া ধানের রোগব্যাধি ও অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে।’ এতে কৃষকেরা তাদের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ’তথ্য সারা বাংলা।
আপনার মতামত লিখুন :