এএইচ রাফি: [২] দেশের পরিবেশগত অবস্থান বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইটভাটা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে আরও কিছুদিন সময় চেয়েছে ভাটার মালিকরা।
[৩] শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইটভাটার মালিকরা। এতে জেলার সকল ইটভাটার মালিকদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক।
[৪] এসময় আজিজুল হক বলেন, ‘ইটভাটা থেকে সরকার প্রচুর পরিমাণ রাজস্বও পেয়ে থাকে। এছাড়া আবাসন, দেশের অবকাঠামো খাত ও বেকার সমস্যা লাঘবে ইটভাটার ভূমিকা অনস্বীকার্য। সরকার দেশের পরিবেশগত অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ করেছে। আমরা ইটভাটা মালিকরা সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছি’।
[৫] তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে এমনিতেই ইটভাটা ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি বছর আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে ইটভাটা স্থানান্তর করতে পারিনি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকালীন সময়ে নতুন জায়গা কেনা বা ভাড়া নেয়া দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি ইটভাটাতেই দুই-তিন কোটি টাকা করে বিনিয়োগ রয়েছে। আর বিনিয়োগকৃত এসব টাকা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া’।
[৬] আজিজুল হক ইটভাটা স্থানান্তরে আরও কিছুদিন সময় চেয়ে বলেন, ‘এখন ইটভাটা স্থানান্তর করতে গেলে আমরা আর্থিক এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। ব্যাংকের দেনা শোধ করতে পারবনা। শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বেন এবং প্রান্তিব পর্যায়ে দুর্দশা বেড়ে যাবে। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী ইট প্রস্তুত না হলে আবাসন এবং সরকারের উন্নয়নমূলক অবকাঠামোগত খাতে ইট সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেবে। এতে করে আবাসন এবং অবকাঠামো খাতে ব্যয় বেড়ে যাবে’।
[৭] সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম মুকুল ও ইটভাটা মালিক আমজাদ হোসেন রনি উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ