রাজু চৌধুরী : [২] চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার মো. মারুফ চৌধুরী মিন্টু হত্যাকান্ডে জড়িত সকলের ফাঁসি দাবি করেছেন তার পরিবার। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের নিকট সকল আসামিদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করার আকুল আবেদন জানানো হয়। এই সময় মিন্টুর মা, স্ত্রী, বোন সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
[৩] মিন্টুর স্ত্রী এক বছরের শিশু পুত্রকে কোলে নিয়ে আহাজারী করে বলেন, আমার সন্তান পিতার আদর কি জিনিষ বুঝার আগেই এতিম হল, আমি স্বামী হারা হলাম, হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
[৪] বোন রোজী চৌধুরী বলেন, তার ভাই এলাকায় মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা করত এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সে তাদের টার্গেটে পরিণত হয়। যার ফলে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলার শিকার হয়ে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নগরীর রয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রোজি অন্যান্য আসামীদেরকে ও গ্রেপ্তার করার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবী জানান।
[৫] এদিকে, মামলার এজহারভুক্ত আসামি মো. রমজান আলীকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি মোঃ রমজান আলী ডবলমুরিং থানাধীন কমার্স কলেজ রোডের মতিয়ারপুল এলাকার মো. আক্তারের ছেলে। রমজান মারুফ হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি।
[৬] সিএমপি ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ বলেন, রমজান আলী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে আত্মগোপন করেছিলেন।
[৭] মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্নব বড়ুয়া বলেন, কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাতের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রকাশ মারুফ চৌধুরী। ঘটনার পর অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।রমজানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
[৮] অর্ণব বড়ুয়া আরও জানান, প্রধান আসামি রমজান আলী আশুগঞ্জ থেকে আগরতলা হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিল। আগ্রাবাদ এলাকার কিশোরগ্যাং লিডার মোস্তফা কামাল টিপুসহ মোট সাতজনকে আসামি করা হয় এই হত্যা মামলায়। ঘটনার পর এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন মোস্তফা কামাল টিপুসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারুফের মৃত্যুর পর তার বড় বোন রোজি চৌধুরী বাদি হয়ে ডবলমুরিং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।