ডেস্ক রিপোর্ট : করোনাভাইরাস ভারতীয় অর্থনীতির উপরে খুব খারাপ প্রভাব ফেলেছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার কমতে কমতে নেগেটিভে চলে গিয়েছে। আপাতত বৃদ্ধির হার নেগেটিভ থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অধিকাংশ এজেন্সি। ভারতীয় অর্থনীতির এই জরাজীর্ণ অবস্থা প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ্ তথা কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কৌশিক বসুকে। বুধবার সকালে ট্যুইট করে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিগত মনমোহন সিং জমানায় সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পদে ছিলেন কৌশিক বসু। এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। স্বভাবতই তাঁর এই ট্যুইট ঘিরে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে।
For the good of nation we must look at data. Here’s the latest on growth & Covid in Asia. Clearly we can’t say India slowed down its economy to control Covid. We are in a situation rarely seen before & must face up to facts & make policy corrections. The poor need fiscal support. pic.twitter.com/bh5BdkbYBT
— Kaushik Basu (@kaushikcbasu) November 18, 2020
ট্যুইটে কী লিখেছেন বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ?
এই দিনের ট্যুইটে একটি পরিসংখ্যানের তালিকা শেয়ার করেছেন কৌশিক বসু। সেই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, দেশের ভালোর জন্য এই পরিসংখ্যানের উপরে আমাদের নজর দেওয়া প্রয়োজন। এটি এশিয়ায় অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং কোভিডের সাম্প্রতিকতম তথ্য। কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারতের অর্থনীতি শ্লথ হয়েছে, উপরের এই পরিসংখ্যান থেকে অন্তত একথা বলা যায় না। এমন পরিস্থিতির আগে হয়তো খুবই কম দেখেছি। এই বাস্তব সত্য আমাদের স্বীকার করে নিতে হবে এবং সেই অনুসারে নীতিগত সংশোধন প্রয়োজন। গরিব মানুষের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। তাঁদের কাছে এই সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে।'
এশিয়ার পরিসংখ্যান পেশ
গত ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ধরে ধরে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার এবং কোভিড পরিস্থিতির তুলনামূলক বর্তমানে দৃশ্য তুলে ধরেছেন অর্থনীতিবিদ্ কৌশিক বসু। তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির নিরিখে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। চলতি বছরে শেখ হাসিনার দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৩.৮ শতাংশ। আর ১৪ দেশের এই তালিকায় একদম তলানিতে ভারত। ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার শূন্যের অনেক নীচে; সংখ্যাটা -১০.৩ শতাংশ। তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়া ভারতের উপরে আছে যথাক্রমে মায়ানমার, চিন, ভিয়েতনাম, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ফিলিপিন্স।
সূত্র- এইসময়
আপনার মতামত লিখুন :