শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ০১:৩৩ রাত
আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ০১:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালেদ মুহিউদ্দীন: সাকিবের মন্দিরগমন ও ক্ষমাপ্রার্থনা দুটোই সঠিক!

খালেদ মুহিউদ্দীন: কলকাতার কালিপূজায় উপস্থিত হয়ে একপক্ষকে আহত করেছেন সাকিব, আবার ডিজিটাল হুমকির পর নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে আরেক পক্ষকে আহত করেছেন তিনি৷

কিন্তু আমার মতে, তার এই দুটো আচরণই ঠিক আছে৷ ঘোর এই করোনার সময় তিনি যে কলকাতায় কালিপূজায় গেলেন তার নিশ্চয়ই কারণ আছে৷ হয় সাকিব নগদ কোনো প্রাপ্তিযোগে আনন্দিত হয়েছেন বা তাকে দেখে বা পাশে পেয়ে অনেকে আনন্দিত৷

নিজে খুশি বা অন্যকে খুশি, যেকারণই হোক না কেন এটি করার অধিকার তার রয়েছে৷ যদি এর কারণে ইহকালে করোনা আর পরকালে আরও বড় কোনো শাস্তি তিনি পান, সেটিও তিনিই পাবেন৷

আমাদের অনুভূতিতে কেন আঘাত লাগল? তিনি বড় খেলোয়াড় তাকে সবাই ফলো করে এই জন্য? নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ভার সাকিব ভালই নিতে জানেন আর একজন পেশাদার খেলোয়াড়ের পক্ষে কতটা শরীয়তি হওয়া সম্ভব, তা নিশ্চয়ই আবার ভেবে দেখতে পারি আমরা৷

কালিপূজায় সাকিবকে দেখে একজন দা নাকি রামদা নিয়ে সাকিবকে হুমকি দিলেন৷ আমাদের কাজ হলো তার এই বার্তা ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতি ইঞ্চিতে ছড়িয়ে দেওয়া৷ মানে এই ডিজিটাল দুনিয়ার আগে কেউ কোনোদিন শুনেছে ওইরকম এক বক্তব্য এত নিষ্ঠার সঙ্গে বিতরণের কথা?

যাহোক আলাপে ফিরে আসি৷ সাকিব তার কাজের জন্য মাফ চেয়েছেন৷ এতে আবার অনেকের মনে আঘাত লেগেছে৷ সাকিব তো কাউকে খুশি করতে এটা করতেই পারেন৷ সাকিব ও আমাদের অন্য ক্রিকেটাররা নিয়ম করে হজ ও নামাজের ছবি দেন৷ ভক্তদের কাছে তাদের পরিচিতি বা গ্রহণযোগ্যতা সেরকম একজন হিসেবেই৷ এখন সাকিব তাদের খুশি রাখতে চাইছেন, চাইবেনই তো!

সব শেষে একবছর আগের এই সময়ের কথা মনে করিয়ে দেই৷ জুয়াড়ির সঙ্গে যোগাযোগ না জানানোর দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব।  আমরা দায় দেখছিলাম পাপন সাহেবের আর ষড়যন্ত্র দেখছিলাম ভারতের, মনে পড়ে? এই তত্ত্বে গলা মিলিয়েছিলেন অনেক বোদ্ধাও!

আমরা যেন এত দ্রুত উপসংহারে না আসি, দল করে গলাবাজি করার আগে যেন আরেকটু ভাবার শক্তি পাই৷

খালেদ মুহিউদ্দীন: প্রধান, ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়