ইউছুপ রেজা: [২] করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরাসহ সচেতনতা বাড়াতে নগরে সাঁড়াশি অভিযান শুররু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে জেলা প্রশাসনের ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্ব দিলে বিকেলে থেকে আরও চার ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নামেন।
[৩] এর মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান চকবাজার এলাকায়, মো. আলী হোসেন রিয়াজুদ্দিন বাজার এলাকায়, এস এম আলমগীর সোহেল টেরিবাজার এলাকায় এবং মো. আশরাফুল আলম আগ্রাবাদ এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক পাহাড়তলী এলাকায়, রেজওয়ানা আফরিন সদরঘাট এলাকায়, গালিব চৌধুরী পতেঙ্গা এলাকায় ও মারজান হোসেন কাজীর দেউড়ি এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেবেন।
[৪] চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. বদিউল আলম জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টিসহ সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে ডিসি স্যারের নির্দেশে মঙ্গলবার নগরজুড়ে অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন এবং তথ্য অধিদফতরের সহায়তায় নগরের ৪টি প্রবেশপথ এবং ৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
[৫] জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। 'সচেতনতা সৃষ্টি এবং মাস্ক দেওয়ার পরেও যদি কেউ মাস্ক না পরে ঘরের বাইরে আসেন তাদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ' যোগ করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা। অপরদিকে বোয়ালখালীতে মাস্ক না পরায় ১৬ জনকে ৩হাজার ৩শ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
[৬] উপজেলার সদর, গোমদন্ডী ফুলতল এলাকায় মাস্ক এর জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। রাস্তা, মার্কেট, দোকান ও চলন্ত যানবাহনে এ জরিমানা করা হয় এবং মাস্ক ছাড়া ব্যক্তিদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়। সম্পাদনা: সাদেক আলী