শিরোনাম

প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:২০ দুপুর
আপডেট : ০১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:২০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুলদা রায়: শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ পিটিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলার ব্যবস্থা চালু হয়েছে!

কুলদা রায়: লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার কারণে পুলিশ, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে যে লোকটিকে দরজা ভেঙে পিটিয়ে মারা হলো এবং মেরে রাস্তায় ফেলে কাঠ ও পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হলো সে বিষয়ে প্রথম আলো লিখেছে, লক্ষ্য করুন মতিউর রহমান সম্পাদিত প্রথম আলো পত্রিকা লিখেছে, লোকটি নিয়মিত ভারতীয় ওষুধ খেতো। ওষুধটি ভারতের তৈরি। সেই ভারত। যাই হোক, যারা জুয়েল নামের লোকটিকে মেরে ফেলেছিল, বলা সঙ্গত যে তারা তাকে অত্যন্ত যত্ন সহকারেই পিটিয়ে মেরেছে। এলাকার বিপুল সংখ্যক লোক অংশ নিয়েছে।

পেটানোর পরেও লোকটি যদি তার সঙ্গীর মতো বেঁচে থাকতো, তবে লোকটি খুব যন্ত্রণা পেতো। হয়তো পঙ্গু হয়ে তাকে সারা জীবন কাটাতে হতো। এমনিতেই লোকটির চাকরি চলে গিয়েছিল, মাথার গোলমাল দেখা দিয়েছিল, আবার ভারতীয় ওষুধ খেতে হচ্ছিল, আগামীতে তার চাকরি পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকতো না, জেলে কাটাতে হতো- এসব মহা মহা যন্ত্রণার মধ্যে যাতে লোকটিকে না যেতে হয় সে জন্য সমবেত লোকগুলো দয়াপরবশ হয়ে তার মৃত্যুটি নিশ্চিত করেছে। বারবার তারা চেক করে দেখেছে, সে সত্যি সত্যি ফাইনালি মরেছে কিনা। নিশ্চিত হয়ে উল্লাসে করে বলেছে, মরেছে। মরেছে। হ্যাঁ, মরেছে।

সৃষ্টিকর্যার নামে জয়ধ্বনি দিতে দিতে তারা উল্লাস করেছে। তিনি সর্বশক্তমান। তিনি পরম দয়ালু।

তারপর তাকে আবারও খুব যত্নের সঙ্গে কাঠ ও পেট্রোল দিয়ে ভারতীয় হিন্দু মতে পুড়িয়ে ফেলেছে, যাতে তার মাসুম বাচ্চাটিকে তার বাবার বিকৃত রক্তাক্ত মৃত দেহটি দেখতে না হয়। দেখে আতঙ্কিত হতে না হয়। শিশুদের আতঙ্ক থেকে রক্ষা করা সকলের পবিত্র দায়িত্ব। লোকটিকে যে অতি যত্নের সঙ্গে মেরে পুড়িয়ে ছাই করে নাই করে দেওয়া হলো, তার সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও, পুলিশের ওসি এবং জনপ্রতিনিধি। তারা অতি বিবেচক বলেই পুড়িয়ে দিয়ে লোকটার দাফনকাফনের খরচের হাত থেকে তার অভাবী পরিবারকে বাঁচিয়ে দিল। এই হত্যাকাণ্ডটি কোনো রকম দাঙ্গাহাঙ্গামা ফ্যাসাদ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। সদাশয় সরকার এই হত্যা উৎসবে সন্তুষ্ট বলে কোনো বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। বিএনপি-জামায়াত ও বাম রাজনীতিকরাও নীরব থেকে এই হত্যাকর্মসূচিতে সমর্থন করেছে।
কবি ফরহাদ মজহারও খুশি। তবে লালমনিরহাটের এই ঘটনার ভেতরে তিনি আরেকটি ডিসকোর্স আবিষ্কার করছেন। তার এক তালবেলেমের মুখ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এই সুযোগে ইসলামরে ফ্রি ফ্রি কোপানির সুবর্ণ সুযোগ নেওনের ধারাকেও দেখতে পাইতেছি।’ ৪৭-এর পরাজিত জমিদার হিন্দুদের সেই পুরানা ইসলাম বিদ্বেষ, আবার ঝালায় নেওয়ার মহোৎসবে মেতে উঠনের ধারা। এই ধারাকে আমরা সবাই চিনি...! ৪৭-এর পাকিস্তান আন্দোলনে, জমিদারি হারানির শোক আর সমাজে মাতব্বরি হারানির কষ্ট সেই জমিদারদের বংশধরদের ভুইলা যাওয়া এতো সহজ নয়। জমিদার হিন্দুদের প্রেতাত্মারা সুযোগ পাইলেই তার ছানা-পোনাদের ঘাড়ে, সেই একই রোগের লক্ষণ হিসাবে চাইপা বসে। লালমনিরহাটের ঘটনায়, জমিদার হিন্দুর হিন্দুত্বের নর্তন কুন্দনও লক্ষ্য করতেছি...!

প্রথম আলো লিখেছে, ধর্ম অবমাননাকারী মৃত লোকটি কিছুদিন ধরে ভারতীয় ওষুধ খেতো। নোট. দেশে শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের উপস্থিতিতে মানুষ মেরে পুড়িয়ে ফেলার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। পরীক্ষা প্রার্থনীয়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়