দেবদুলাল মুন্না: [২] গতকাল বিজনেস ইনসাইডারের এক খবরের বরাত দিয়ে এনিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে আল-জাজিরা। তবে জানা যায়, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান গত মাসে হোয়াটসঅ্যাপে হাজিরা দিয়েছেন। বিজনেস ইনসাইডারের খবরে বলা হয়, টমাস মাস্টার্স নামে একজন কম্পিউটার ফরেনসিক তদন্তকারী নিশ্চিত করেছেন, গত বৃহস্পতিবার আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করা হয়, সেটা হোয়াইটসঅ্যাপের মাধ্যমে ২২ সেপ্টেম্বর পাঠানো হয়েছিল। তাতে ফোনে দেওয়া প্রিন্স সালমানের ২০ মিনিটের একটি বক্তব্য রয়েছে।
[৩] এর আগে সৌদি আরবের সাবেক এক নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে নির্যাতন ও গুপ্তহত্যার চেষ্টা চালানো মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত তলব করে। নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টায় এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় প্রিন্স সালমান ও আরও নয়জন সৌদি কর্মকর্তাকে অফিশিয়াল চিঠিতে তলব করে ওয়াশিংটন ডিসি আদালত।
[৪] প্রিন্স সালমানসহ সৌদি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন দেশটির সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা সাদ আল-জাবরি। তার অভিযোগ, ২০১৮ সালের অক্টোবরে তাকে ‘হত্যার জন্য’ কানাডাতে ৫০ সদস্যের ‘একটি গুপ্তঘাতকের দল’ সৌদি আরব থেকে পাঠিয়েছিলেন যুবরাজ সালমান।
[৫] আল-জাবরির দাবি, তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটে দেশটির সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার কয়েক দিন পর তাকেও গুপ্ত হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে খুন হন দেশটির ৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিক জামাল খাশোগি। অবশ্য সৌদি কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় যুবরাজের জড়িত থাকার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে।