শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর, ২০২০, ০৬:৩৭ সকাল
আপডেট : ৩০ অক্টোবর, ২০২০, ০৬:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাসুদ রানা: মুসলমানের প্রতি, অপমানে না-ক্ষেপে আত্মোন্নয়ন ঘটাও!

মাসুদ রানা: কয়েক বছর পর-পরই কেউ নবী মুহাম্মদকে ব্যঙ্গ করে হয় গদ্য বা পদ্য লিখবে, নয় ছবি আঁকবে, কিংবা বলবে, এবং তা পড়ে, দেখে বা শুনে দেশে-দেশে কোটি-কোটি মুসলমান ক্ষেপবে। গত কয়েক দশক ধরে এটি যেনো একটি রুটীন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আসলে, ক্ষেপতে নেই। যারা ক্ষেপে, তাদেরকে অন্যেরা ক্ষ্যাপা মনে করে। আর, যাদেরকে একবার ক্ষ্যাপা মনে করা হয়, তাদেরকেই বার-বার ক্ষেপানো হয়।

যারা ক্ষেপায়, তাদের সংখ্যা কতো? কখনও এক (সালমান রুশদী) কিংবা কয়েকজন (শার্লি হেবদো)। আর ক্ষেপে কতো? কোটি-কোটি নয় কি?

তাহলে দাঁড়াচ্ছে কী? যখন অন্যেরা দেখে যে একজন বা কয়েকজন মিলে কিছু লিখলে, বললে, কিংবা আঁকলেই যদি বিভিন্ন জাতির 'মুসলমান' পরিচয়ের লোকেরা বিশ্বব্যাপী ক্ষেপে ওঠে, তখন তারা বিষয়টিকে একটা ‘ফান’ মনে করে। এটি অনেকটা দুষ্ট শিশুদের হাতে ক্ষ্যাপাটে বুড়ো-বুড়ির ক্ষ্যাপামোর মতো ‘বিনোদন’, যা তারা উপভোগ করে।

যারা ক্ষেপাতে সক্ষম হয়, তারা নিজেদেরকে শক্তিশালী মনে করে। তারা মনে করে তাদের কাছে আছে এমন একটি ‘সুইচ’ বা ‘রিমৌট কণ্ট্রৌল’, যা দিয়ে তারা দূরে ও নিরাপদে থেকে দূরান্তরে ‘মুসলমান’ পরিচয়ের কোটি-কোটি মানুষকে ক্ষেপাতে পারে। অর্থাৎ, তাদের হাতে কোটি-কোটি মানুষে ক্রীড়নক হিসেবে মাতম করে।

এমনটি কি হওয়া উচিত? বুদ্ধিমান মুসলমানের আসলে কী করা উচিত? কেউ ক্ষেপালেই ক্ষেপে ওঠা? নাকি অবজ্ঞা করা?

ধরাযাক, আগামী ৫ বছর কিংবা ১০ বছরের ভেতর নবী মুহাম্মদকে অপমান করে আরও ৫টি বা ১০টি ক্যারিকেচার, কবিতা কিংবা উপন্যাস প্রকাশিত হলো, কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় মুসলমানেরা ক্ষেপলো না। তারপর ওরা আর কতোদিন ক্ষেপানোর চেষ্টা করবে?

নবী মুহাম্মদের অবমাননাকারীরা তাদের ব্যঙ্গ-সংস্কৃতির বোধ থেকে বার-বার ক্ষেপানোর চেষ্টা করেও যদি কোনো মুসলমানকে ক্ষেপাতে না পা্রে, তখন তারা কী করবে? নিশ্চয় বিষয়টির ‘ডিমিনিশিং রিটার্ণ’ ঘটবে - অর্থাৎ, তাদের ক্রিয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া না পেয়ে ওরা তখন আগ্রহ হারিয়ে ফলবে।

আসলে, অবমাননাকারীরা কোটি-কোটি মানুষকে ক্ষেপিয়ে ‘হিরো’ কিংবা ‘হেরোয়িন’ হতে চায়। এতে শুধু যে ‘বিখ্যাত’ই হওয়া যায় না, সাথে কিছু অর্থকড়িও মেলে। সুতরাং, হে মুসলমানগণ, আমার কথার অর্থ যদি বুঝে থাকো, দয়াকরে ক্ষেপাক্ষেপি বন্ধ করো।

ক্ষ্যাপামো বন্ধ করে সারা বিশ্বে মুসলমান মানেই যে স্বৈরশাসক-শাসিত জনগোষ্ঠী, এই চিত্রের পরিবর্তন ঘটাও। নিজেদের মধ্যে সুসভ্য ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করো এবং শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতা-সংস্কৃতিতে আত্মোন্নয়ন ঘটিয়ে আত্মমর্য্যাদায় অভিষিক্ত হও। তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়ঃ

“...তুমি সুখী হবে।
ভুলে যাবে সর্বগ্লানি বিপুল গৌরবে।”

২৯/১০/২০২০
লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড

ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়