জাকির তালুকদার: আমি বলছি না, এই দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দেওয়া মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে টোকনকেও ছাড় দিতে হবে। একটা অন্যায়ের অজুহাত তুলে আরেকটি অন্যায়কে সমর্থন করার কোনো মানে হয় না। আমি শুধু বলতে চাই ইনটেনশনটি খেয়াল করুন। টোকনের তো টাকা মেরে দেওয়ার ইনটেনশন নেই। সে সিনেমাটি শেষ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। মাসখানেক আগে বলছিলো করোনাকালে কোনো কাজ পায়নি। বাসা-ভাড়া বাকি ৬ মাসের। তারপরেই বলতে শুরু করলো সিনেমা তৈরির গল্প। কীভাবে কাজ করেছে, সিনেমাটিকে ঘিরে তার কী কী স্বপ্ন আছে, বলতেই থাকলো সে। আমি বলেছিলাম ৩৫ লাখ টাকায় কী সিনেমা তৈরি সম্ভব, কেন গেলেন সেই অনুদানটি নিতে। মাসুদ পথিক ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ বানানোর সময় অনুদান পেয়েছিলো। কিন্তু সেই টাকাতে কাজ শেষ করতে পারা অসম্ভব ছিলো। বাড়ির কয়েক বিঘা জমি বিক্রি করে সিনেমাটি শেষ করেছিলো সে। টোকনের পরিবারের বিক্রি করার মতো জমি আছে কিনা জানি না। তবে সে সিনেমা তৈরির কাজটা শেষ করতে বদ্ধপরিকর বলেই মনে হয়েছে আমার। একটি সুযোগ তার প্রাপ্য। ফেসবুক থেকে