শিরোনাম
◈ চিত্রনায়িকা ববি ও প্রযোজক বাশারের কল রেকর্ড ফাঁস (অডিও) ◈ শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে চার দেশকে আমন্ত্রণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ফেসবুকের জনপ্রিয় ব্যঙ্গাত্মক পাতা ‘সুইজারল্যান্ড প্রবাসী’র নেপথ্যে আসলে কারা? ◈ ছেলের হাতে প্রাণ গেল বাবার, ছেলেকে বাঁচাতে ছিনতাইয়ের নাটক সাজালো মা (ভিডিও) ◈ যেভাবে উদ্ধার হলেন মুফতি মহিবুল্লাহ, মিললো চাঞ্চল্যকর তথ্য!(ভিডিও) ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে মেলেনি অনেক হিসাব, হতাশ রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষ ◈ ভারতে জু‌নিয়র বিশ্বকাপ হ‌কি খেল‌বে না পা‌কিস্তান, নাম তুলে নিলো ◈ সিএনজি অটোরিকশা রক্ষায় ছিনতাইকারীদের সঙ্গে লড়ে গেলেন চালক, আপ্রাণ চেষ্টা, ভিডিও ভাইরাল ◈ বাবার জম্মবা‌ষিকী পালন ক‌রে বাসায় ফেরার প‌থে গরুর সঙ্গে বাইকের ধাক্কায় ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের মৃত্যু ◈ উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ নির্বাচনে অংশ নেবেন?

প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর, ২০২০, ১১:১০ দুপুর
আপডেট : ২৭ অক্টোবর, ২০২০, ১১:১০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনায় করুণ অবস্থা পুস্তক প্রকাশকদের

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাকালে বই প্রকাশক ও বিক্রেতাদের খুবই করুণ সময় কাটছে। বই বিক্রি একেবারেই নেই। উলটা কর্মচারীদের বেতন, গুদাম ভাড়ার খরচ মেটাতে গিয়ে অনেক ব্যবসায়ীই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। করোনাকালে সরকারের কাছে পুস্তক ব্যবসায়ীরা প্রণোদনার আবেদন করলেও সে বিষয়ে কোনো সাড়া মেলেনি। এ অবস্থায় বই প্রকাশক ও বিক্রেতাদের প্রায় ২ লাখ পরিবার রয়েছেন মহাসংকটে। এ পরিস্থিতিতে প্রকাশকরা তাকিয়ে আছেন বইমেলার দিকে। যদিও বইমেলার স্টল ভাড়া ও সাজসজ্জা বাবদ যে টাকা খরচ হয় সেটাও জোগাড় করা বর্তমান অবস্থায় বেশ কষ্টকর। তাই বইমেলার স্টল ভাড়া মওকুফ চেয়েছেন প্রকাশকরা। আগামী বছরের বইমেলায় যদি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে তাহলে ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠার একটা সুযোগ মিলবে তাদের। সেজন্যই সরকারের কাছে আসছে বইমেলায় স্টল ভাড়া না নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে প্রকাশকদের সংগঠনগুলো।

বইমেলা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, সামনের শীতকালে করোনার সংক্রমণ কী পর্যায়ে থাকবে সেটা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে বইমেলা হবে। আর যদি সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় তাহলে বইমেলা হবে কি না, এ নিয়েও রয়েছে সংশয়। তাই বইমেলা নিয়ে আশা-নিরাশার দোলাচলে রয়েছেন প্রকাশকরা।

জানা গেছে, করোনা মহামারিতে বই প্রকাশকরা বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছেন। দেশের এই ক্রান্তিকালে অস্তিত্ব রক্ষায় পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতারা প্রণোদনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন। তবে সে আবেদনে সাড়া মেলেনি। এ অবস্থায় স্টল বরাদ্দের জন্য নির্ধারিত ভাড়া না নিয়ে প্রকাশকদের বইমেলায় অংশ নেওয়ার অনুমতি প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। সম্প্রতি একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর কাছে ১২ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির রাজধানী শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ও সহসভাপতি শ্যামল চন্দ্র পাল। জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির পক্ষ থেকেও একই আবেদন জানানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, যদি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে তাহলে বইমেলা আয়োজন করা হবে। প্রকাশকদের স্টল ভাড়া মওকুফ চেয়ে আবেদন অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে কীভাবে বইমেলা করা যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছি। স্টলসংখ্যা কমিয়ে বইমেলাকে খোলামেলা করা যেতে পারে। পাঠকরা অনলাইনে বুকিং দিয়ে বইমেলায় আসতে পারেন। এতেও ভিড় কম হতে পারে। তবে সময় ও বাস্তবতার নিরিখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, পুস্তক প্রকাশকরা বেশকিছু প্রস্তাবনা দিয়েছেন। এর মধ্যে স্টল ভাড়া মওকুফের প্রস্তাবও রয়েছে। তবে এ অর্থ ছাড় দেওয়ার এক্তিয়ার আমাদের হাতে নেই। মন্ত্রণালয় এ ছাড় দিতে পারে। এটা প্রকাশকদেরও জানানো হয়েছে।

গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, বইমেলার প্রস্তুতি যথারীতি চলছে। আগামী বুধবার গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় গ্রন্থমেলা আয়োজনের সব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।

প্রকাশকদের প্রস্তাবনায় যা রয়েছে

করোনাকালে ভয়াবহ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহকে ন্যূনতম ভাড়ায় স্টল বরাদ্দ দেওয়া, পাইরেটেড ও নোট বই ঠেকাতে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সদস্য ছাড়া অন্য কোনো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি স্টলের চারদিক উন্মুক্ত রাখা এবং প্রতিটি স্টল নির্দিষ্ট দূরত্বে স্থাপন করা, প্রবেশপথে আর্চওয়ের সঙ্গে ডিসইনফেকশন টানেলের মাধ্যমে প্রত্যেককে স্প্রে করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, মাস্ক ছাড়া দর্শনার্থীদের মেলায় প্রবেশ করতে না দেওয়া, কোনো প্রবেশপথের সামনেই খাবারের দোকান না রাখা ইত্যাদি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়