খান আসাদ: উত্তরায় যারা ‘ইসলামী অনুভূতি রক্ষার তৌহিদী জনতা’, তারা কারা? কে তাদের মূল সংগঠক। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কী? তাদের যে নেতা সে কোন পরিবার থেকে এসেছে। নেতার পেছনে যে মাথা সে কোন ছাত্র সংগঠন করেছে। একাত্তর সালে এদের ভূমিকা কী ছিলো। এরা কোন ঘরানার মুসলমান। তাদের কেউ আফগানিস্তান বা মধ্যপ্রাচ্যে ছিলো কী। আমি লিখে দিচ্ছি, তাদের ধর্ম একটি উছিলা। তাদের অন্য স্বার্থ আছে। সেই স্বার্থ টাকা পয়সার না হলেও স্থানীয় ক্ষমতা কাঠামোতে অভিগম্যতা বা আধিপত্য বিস্তারের। তারা ধার্মিক নয়, মতলববাজ, নির্বোধ কিছু ধার্মিককে হয়তো দলে ভিড়িয়েছে। ডিটেলে তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিন।
তৌহিদী জনতার নেতার আসল চেহারা জনসমক্ষে আনুন। নাগরিক সাংবাদিকতা শুরু করুন। তাদের নিয়ে একটু গবেষণা করুন। দরকারে পেশাদার গবেষকের পরামর্শ নিন। আমি নিশ্চিত তাদের কারো না কারো সাথে বাংলাদেশের ১৩৩টি জঙ্গি সংগঠনের কোনো না কোনোটির সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশে মূর্তি ভাঙলে আপনারা সাম্প্রদায়িকতা আছে কিনা আলাপ শুরু করেন। হলি-আর্টিজানে বিদেশি খুন করলে জঙ্গি আছে স্বীকার করেন। বাকি সময় তাদের সম্পর্কে আপনার নিরবতা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ বিকাশে পরোক্ষ ভূমিকা রাখছে। ফেসবুক থেকে