ওমর ফারুক: [২] আইপিডিসি আমাদের গান নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়ার সংগীতায়োজনে ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ হয় জনপ্রিয় দুই টিভি তারকা চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওনের গাওয়া ‘যুবতী রাধে’ নামে একটি গান। গানটি রীতিমত ভাইরাল।
[৩] মূলত গানটি সরলপুর ব্যান্ডের। কিন্তু গানের পরিচয়ে তাদের কোনও কৃতজ্ঞতা দেয়নি আইপিডিসি। তাই সরলপুর ব্যান্ড গানটি সরিয়ে নিতে আইপিডিসিকে অনুরোধ জানিয়েছে। সেই অনুরোধ রাখতে মোটেও দেরি করেনি আইপিডিসি, নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে গানটি সরিয়েও নিয়েছে তারা। একুশে টিভি, জাগো নিউজ।
[৪] এতেও শেষ হয়নি বিপত্তি, উল্টো ছড়িয়েছে বিতর্ক। কারণ, গানটি যে এখনও প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে রয়েছে- এমন দাবি তুলে সেটিও সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করেছে সরলপুর ব্যান্ড। অন্যথায় তারা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে হুমকিও দিয়েছেন।
[৫] ‘যুবতী রাধে’ গানটি নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর সরলপুর ব্যান্ডের আপত্তি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কেউ সরলপুর ব্যান্ডের পক্ষে বলছেন, কেউ আবার আইপিডিসি, পার্থ বড়ুয়া, চঞ্চল ও শাওনের প্রশংসা করছেন- গানটিকে নতুন করে চমৎকারভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য। তারা ‘যুবতী রাধে’ গানটিকে প্রচলিত গান দাবি করে উল্টা সরলপুর ব্যান্ডের কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন।
[৬] কপিরাইট রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, আমরা বিচার বিশ্লেষণ করেই দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সরলপুর ব্যান্ডকে ‘যুবতী রাধে’ গানটির রেজিস্ট্রেশন দিয়েছি। কপিরাইট বিষয়টি জটিল, তবে এটি বুঝতে পারলে খুব সহজ। যারা কপিরাইট সম্পর্কিত সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের উচিত এই আইন সম্পর্কে জানা ও বোঝা। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :