ইসমাঈল ইমু : [২] দেশের চলমান অসহিষ্ণু পরিবেশ রোধে এবং শান্তিময় পরিবেশ তৈরিতে সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ড পরিহার করে দেশের বিপথগামী মানুষসহ সকল দেশবাসীকে সু-পথে থেকে কলহ-দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও সন্ত্রাসমুক্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি এফ. আহমেদ খান রাজীব।শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচীতে এ আহ্বান জানানো হয়।
[৩] আহমেদ খান রাজীব বলেন, দেশের চলমান সামাজিক পরিবেশ উত্তপ্ত করতে কোনো কোনো পক্ষ উস্কানি ও সংঘাতযুক্ত আচরণ করছে। আবার কিছু ব্যক্তি ধর্ষণসহ নানাবিধ ঘৃণিত কর্মকান্ড করে সমাজ ও দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। এমতাবস্থায় কলহ-দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও সন্ত্রাসসহ সকল অনৈতিক কর্মকান্ড রোধে সকলের মাঝে পাপবোধ জাগ্রত করতে কোনো এক পক্ষকে বন্ধুত্বের বলয়ে আবদ্ধ হয়ে দেশের বিপথগামী মানুষকে সু-পথের দিকে নিয়ে আসা জরুরি হয়ে পড়েছে। এরই লক্ষ্যে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের পক্ষ থেকে দেশের বিপথগামী মানুষকে সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ড পরিহার করে সু-পথে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
[৪] বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার সূচনায় অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিবসের ন্যায় ২৩ নভেম্বর দিনটি ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে রাজীব আরো বলেন, আমরা প্রস্তাবিত সার্বিক দায়িত্ব পালনে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে সাংবিধানিক বৈধতায় জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি অথবা জাতীয়করণের জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সকল শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের কাছে বিনীত আবেদন জানিয়েছি। আমাদের বিশ্বাস সরকার বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে জাতীয়করণ বা স্বীকৃতি প্রদানপূর্বক দায়িত্ব পালনে মাধ্যমে আমাদের কাজ করার পথ আরো বেগবান করবেন।
[৫] অবস্থান কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সাংবাদিক ও কলমযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান, এড. সুলতান আহমেদ খান, সাংবাদিক নেতা ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ।