লিহান লিমা: [২] গণবিক্ষোভের মুখে বাধ্য হয়ে থাইল্যান্ড প্রশাসন গত সপ্তাহে ব্যাংককে জারি হওয়া একমাসব্যাপী জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা আন্দোলনকারীদের কাছে বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। আল জাজিরা/সিএনএ
[৩] বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড সরকারের বিবৃতিতে হয়, ‘সম্প্রতি শান্তিশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় ব্যাংককে একমাসব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেনো না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছেও শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।’
[৪] বিক্ষোভকারীরা ২০১৪ সালে সেনা অভ্যূত্থানে ক্ষমতায় আসা সাবেব সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ূথকে পদত্যাগের জন্য তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তারা বলেছেন, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার তাদের দাবি-দাওয়া পূরণে যথেষ্ট নয়। বিক্ষোভকারীদের নেতা জা নিউ সেরিতিওয়াত বলেন, ‘জনগণের দাবি-দাওয়া উপেক্ষা করে তিনি এখনও ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন।’
[৫] মধ্য-জুলাই থেকে থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের সংস্কার, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা-র পদত্যাগ ও সামরিক জান্তা সরকারের সংশোধিত সংবিধান পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। গত সপ্তাহে জরুরী অবস্থা জারির পর বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়া কয়েকজনসহ মোট ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়ে ওঠে। ব্যাংকক কার্যত অচল হয়ে পড়ে। হাজার হাজার গণতন্ত্রপন্থী অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ করেন।
[৬]গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র। বিক্ষোভকারীরা থাইল্যান্ডে বছরের পর বছর ধরে সেনা আধিপত্য টিকিয়ে রাখার জন্য রাজতন্ত্রকে দায়ী করে রাজার ক্ষমতা খর্ব করার দাবি তুলেছেন।