মাসুদ রানা: একজন মুক্তিযোদ্ধার ফেসবুকে পড়লাম, মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্রগুলোও বিক্রি করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ লড়াইয়ের ময়দানে মুক্তিযুদ্ধের কোনো স্মৃতিই থাকবে না। শুধু থাকবে বক্তৃতা ও মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতাহীন মুক্তির কৃতিত্ব, যা বাস্তব জীবনে আসলে এক অন্তহীন দাসত্ব। যে-মুক্তিবাহিনী বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে, সে-মুক্তিবাহিনীকে স্বাধীন দেশে বিলুপ্ত করা হয়েছে ১৯৭২ সালে। এর পর থেকে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ নামে কিছু ব্যক্তি আছেন এবং তাদের ক্লাব আছে- ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’। কিন্তু বাহিনী নেই। এটি খুবই কষ্টের যে, প্রকৃত সংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি ‘মুক্তিযোদ্ধা’ আজ জীবিত, বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা মক্তিবাহিনী মৃত এবং সে-কারণে এ-জাতি আজ কার্যত : স্বাধীনতাহীন। যারা এখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন, তাদের উচিত মুক্তিবাহিনীর রিজারেকশন।
অর্থাৎ পুনরুজ্জীবন, দান করা। বিষয়টি নিয়ে আমি গত বছর ধরে ভাবছি। আগামী ৪ঠা এপ্রিল হবে মুক্তিবাহিনীর ৫০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। এ-উপলক্ষে আমি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহবান জানিয়ে অনুরোধ করছি : [১] সারাদেশ (ও বিদেশ) থেকে সকল জীবিত মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিবাহিনীর জন্মস্থান হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়াতে একত্রিত হোন, [২] আরোপিত মৃত্যু প্রত্যাখ্যান করে মুক্তিবাহিনীর রিজাকেশন অর্থাৎ পুনর্জন্ম ঘোষণা করুন, [৩] জন্মস্থানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্মারক হিসেবে ‘মুক্তির নির্বাণ শিখা’ প্রজ্জ্বোলিত ও প্রতিষ্ঠিত করুন। আগুনের ফিনিক্স পাখির মতো ভস্ম থেকে পুনরায় জন্মগ্রহণ করুক বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা মুক্তিবাহিনী। প্রয়োজন হলে, ১৯৭১-এর পুরনো প্রাণ ২০২১-এ নতুন দেহধারণ করুক। ফেসবুক থেকে