পটুয়াখালী প্রতিনিধি: [২] ঢিল ছোঁড়া নিয়ে দুই শিশুর পরিবারে বিরোধ। এই জেরে ঘরে ঢুকে এক শিশুর মাকে নির্যাতনকরা হয়। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরমার্গারেট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
[৩] শনিবার রাতে এ ঘটনার বিবরণ দিয়ে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। অভিযুক্ত আসামিরা হল, চরমোন্তাজের চরমার্গারেট গ্রামের মজিবর শরিফের ছেলে শাকিল শরিফ (২২), চররুস্তুম গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমান মুন্সির ছেলে আল হাদি (২২) ও চরমার্গারেট গ্রামের আলাউদ্দিন চৌকিদারের ছেলে আরিফ চৌকিদার (২১)।
[৪] ইতোমধ্যে প্রধান অভিযুক্ত শাকিল ও আল হাদীকে নিজ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। তবে অপর আসামি আরিফ এখনও পলাতক রয়েছে। তার সন্ধান খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[৫] নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৩ অক্টোবর তার নয় বছরের ছেলে এবং আসামি শাকিলের আট বছরের ছোট ভাইর ঢিল ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে মতবিরোধ হয়। শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিয়ে সালিশ মিমাংসা হলেও সেই সিদ্ধান্ত শাকিলের মনভুত হয়নি।
[৬] এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামি শাকিলসহ অন্যরা শুক্রবার রাতে হঠাৎ ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীর হাত-মুখ ওড়না দিয়ে পেচিয়ে টেবিলের সঙ্গে বেঁধে শরীরিক নির্যাতন করে। নির্যাতনে তার বাম হাতের হাড় ভেঙে যায়। একপর্যায় জোরপূর্বক আসামিরা পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।
[৭] পরে ঘরে থাকা দেড় লক্ষাধিক টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার লুট করে তাকে বেঁধে ফেলে রেখে যায়। ঘটনার পর বাড়ি গিয়ে হাত-মুখের বাঁধন খুলে স্ত্রীর কাছ থেকে এসব তথ্য জেনেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী। ঘটনার পর অসুস্থবস্থায় শনিবার সকালে ওই গৃহবধূকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
[৮] এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহম্মেদ বলেন, ‘দুই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করলে জেলহাজতে পাঠানো হয়। বাকি এক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’ সম্পাদনা: সাদেক আলী