কক্সবাজার প্রতিনিধি: [২] শনিবার রাতে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন মহেশখালী থানার ওসি আবদুল হাই।
[৩] নিহত আফরোজা বেগম (২৪) হোয়ানক ইউনিয়নের পুঁইছড়া এলাকার মোহাম্মদ ইসহাকের মেয়ে। তার স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পী চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক। তিনি উত্তর নলবিলা এলাকার হাসান বশিরের ছেলে।
[৪] ওসি বলেন, গত ১২ অক্টোবর শ্বশুরবাড়ি থেকে আফরোজা বেগম ‘নিখোঁজ’ হন। এ ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদ ইসহাক বাদী হয়ে রাকিব হাসান বাপ্পীকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
[৫] শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত নলবিলার আশপাশের পাহাড়ের পাদদেশে খোঁজা হয় আফরোজাকে। না পেয়ে পুলিশ চলে এলেও স্বামীর বাড়ির প্রতি নজর রাখতে গোয়েন্দা লাগানো হয়। রাতে ওঠানের মাটি খুঁড়তে শুরু করে স্বামীর বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ এসে শ্বশুরবাড়ির আঙিনায় মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় আফরোজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি অর্ধ-গলিত হয়ে গেছে।
[৬] স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে বাপ্পির সঙ্গে আফরোজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। পারিবারিক কলহের জেরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা পর্যন্ত গড়ায়।
[৭] কিছু দিন আগে মামলায় আপসের মাধ্যমে বাপ্পি স্ত্রী আফরোজাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাযন। এরই মধ্যে গত ১২ অক্টোবর বাপ্পির মা রোকেয়া হাসান তার পুত্রবধূ আফরোজা নিখোঁজ হয়েছে বলে আফরোজার বাবার বাড়িতে খবর দেন।
[৮] এর পর থেকে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তখন থেকেই রাকিব হাসান বাপ্পি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। বাপ্পির বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ