মনিরুজ্জামান: [২] ভোলার বোরহানউদ্দিনে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তেঁতুলিয়া ও মেঘনা নদীতে ইলিশ আহরণের অপরাধে পৃথক ৩টি অভিযানে ১৬ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
[৩] আটককৃতরা হলেন- সেলিম,লালমিয়া,রতনমাঝি,জসিম,নাসিম,রাকিব, মিরাজ, সাইফুল, সুজন, হাসনাইন, সাইফুল, মো.সোহাগ, বিপ্লব, সোহাগ, মাকসুদ ও মোজাম্মেল,। বোরহানউদ্দিন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ, এফ, এম নাজমুস সালেহীন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১ ঘটিকা থেকে শুক্রবার ভোর ৫ ঘটিকা পর্যন্ত সহকারি কমিশনার ভ’মির নেতৃত্বে মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মা ইলিশ আহরণের অপরাধে ১০ জেলেকে আটক করা হয়।
[৪] আটককৃত জেলেরা হলেন-সেলিম, লালমিয়া, রতন মাঝি, জসিম, নাসিম, রাকিব, মিরাজ, সাইফুল , সুজন, হাসনাইন। পরে সহকারি কমিশনার শোয়াইব আহমাদ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সেলিম, লালমিয়া, রতন মাঝি,জসিম, নাসিম কে ১ বছর করে জেল এবং অপর ৫ জনকে ৫ হাজার টাকা করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
[৫] অপরদিকে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী সহকারী কমিশনার ভূমি তেতুলিয়া নদীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকারী দলটি একই অভিযোগে সাইফুল মো. সোহাগ সোহাগ ও বিপ্লব নামক ৪ জেলেকে আটক করেন। এ সময় তারা ১০ কেজি মা ইলিশ ও একটি নৌকা জব্দ করেন।
[৬] রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটককৃত সাইফুল মো. সোহাগকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং বিপ্লবকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জব্দকৃত ইলিশ গুলো স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
[৭] অপরদিকে নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে অপর একটি অভিযান পরিচালনা করা হয় মেঘনায়। একই অভিযোগে ওই টিমটি মাকসুদ ও মোজাম্মেল নামক ২ জেলেকে আটক করে।
[৮] পরে নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমান করেন। এ কর্মকর্তা জানান, উভয় নদীতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী