রাশিদ রিয়াজ : [২] রয়টার্স বলছে ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনী কাতাইব হিজবুল্লাহ এধরনের শর্ত দিয়েছে। ইরাক সরকারকে নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করতে হবে কবে দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে। কাতাইব হিজবুল্লাহর মুখপাত্র মোহাম্মদ মোহি বলেছেন ইরাকের বিভিন্ন মিলিশিয়া গ্রুপ বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে রকেট হামলা না করার শর্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারকেই শর্ত হিসেবে মেনে নিয়েছে। স্পুটনিক/টাস্কএন্ডপারপাজ/প্রেসটিভি
[৩] মোহি বলেন ইরাক সরকারকে অবশ্যই এর আগে দেশটির সংসদে গত জানুয়ারিতে নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে যেখাবে বলা হয়েছে ইরাক থেকে সকল বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
[৪] ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া প্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিস ও ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান কাশেম সোলায়মানি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হবার পর দেশটির সংসদে এধরনের প্রস্তাব পাশ হয়।
[৫] মোহি আরো বলেন মার্কিনীরা যদি তাদের সেনা ইরাক থেকে ফিরিয়ে না নেয়, ইরাকের সংসদের প্রস্তাবকে না মানে তাহলে তাদের কাছে যত ধরনের অস্ত্র আছে তা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর ব্যবহার করা হবে। বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে কাতিউশা রকেট হামলার মানে হচ্ছে মার্কিন সেনাদের এদেশে স্বাগত জানানো হচ্ছে না এবং এরচেয়ে ভয়ঙ্কর ধরনের আঘাত হানা হবে।
[৬] শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে ইরাকের প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলোর ফ্রন্ট হাশদ আশ-শাবি জানায় ইরাকের মাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র যদি দ্রুত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে তারা রকেট হামলাসহ সব ধরনের হামলা বন্ধ করবে। ইরাকের জাতীয় পর্যায়ের কিছু সম্মানিত ব্যক্তিত্ব এবং রাজনীতিবিদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে তারা মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধ করার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যাতে যুক্তরাষ্ট্র নির্বিঘ্নে ইরাকের মাটি থেকে তাদের সেনা সরিয়ে নেয়ার সুযোগ পায়।