মঞ্জুরুল হক: ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনটা এখনো টিকে আছে, সেটাই বড় পাওয়া। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর যেকোনো আন্দোলন শুরুর আগে বোল-চাল এরকম। [১] আন্দোলনের ফসল রাজনীতিকদের দেওয়া যাবে না (সেই আই হেইট পলিটিক্স জেনারেশনের বাতেলা)। [২] কোনোভাবে যেন রাজনীতি না ঢুকে, রাজনীতি ঢুকলেই আন্দোলন শেষ। [৩] দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না। অথচ দাবিগুলো ক্লিয়ারলি জানি না। [৪] আন্দোলনে নামার পর পরই জানা কথা, সরকারের বিশেষ টিম দূরবীন নিয়ে বসবে। তারপরও ‘পিকনিক মুড’ শো করতে গিয়ে তাদের হাতে ‘পয়েন্ট’ তুলে দিতে হবে। [৫] ২০১৩ সালের মতো এবারও ফেলে দেওয়ার কথা-বার্তা ভাসছে কাদের স্বার্থে চোট খেলো। [৬] জাফরুল্লাহ সাহেব আর এক পিনিক মেরে বলে দিলেন, মৃত্যুদণ্ড চেয়ে লাভ নেই, ওটা কোনো শাস্তিই না, যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড চান।
তাই আন্দোলন কেচে যাওয়ার আগে যাবজ্জীবনও না, মৃত্যুদণ্ডও না, জোরালো দাবি তুলুন : [১] ভিকটিমের ওপর জঘন্য টু-ফিঙ্গার একজামিন সিস্টেম এপ্লাই করা যাবে না। [২] ভিকটিমকে পুলিশ কাস্টডি, আদালতে বিব্রতকর প্রশ্ন করা যাবে না। [৩] ভিকটিমকে পুরোপুরি নিরাপত্তা দিতে হবে। [৪] কেস নিতে দেরি করা, ফলস মেডিকেল রিপোর্ট, চার্জশিট দিতে দেরি করাসহ পুলিশ এবং নিম্ন আদালতের দীর্ঘসূত্রতা বন্ধ করতে হবে। [৫] কেস নিতে গড়িমসি করা, ভিকটিমকে ইঙ্গিতপূর্ণ অপমানজনক কথা বলা, শালিশের মাধ্যমে আপোষের পরামর্শ দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। [৬] ভিকটিমের সাথে ধর্ষকের বিয়ে পড়িয়ে দিতে চাওয়া বা শালিশি ফতোয়াবাজদের আইনের হেফাজতে নিয়ে বিচার করতে হবে। আন্দোলনের টেম্পার থাকতে থাকতে এই দাবিগুলো তোলা যায় কিনা দেখুন। আন্দোলনরত সকলকে অভিনন্দন। ফেসবুক থেকে