আবু হাসান শহরিয়ার: ডাকসুর ভিপি থাকাকালে নূরের ওপর রক্তক্ষয়ী হামলা কিংবা অনতিঅতীতে ভাবমূর্তি হরণে তাকে ধর্ষণ মামলায় জড়ানো—Ñ দুটি ঘটনাই আমাদের রাজনৈতিক দীনতার পরিচয় বহন করে। কিছুদিন হলো ভাষণে-বক্তৃতায় নূর নিজেও এই দীনতার ফেরিওয়ালা। নিজে বা নিজের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকরা ক্ষমতায় না-থাকা সত্ত্বেও ইউটিউব ফেসবুকে নূর যে-ধরনের শব্দবাক্য যোগে প্রতিপক্ষের (সরকার অথবা সরকারপ্রধান কিংবা ছাত্রলীগ বা পুলিশ) উদ্দেশ্যে আক্রমণাত্মক কথা বলছেন, তাতে এই ভেবে শঙ্কিত হই নূর বা তার ঢাকা-লন্ডনস্থ পৃষ্ঠপোষকরা ক্ষমতায় থাকলে/এলে রাজনৈতিক খিস্তি-খেউড়ের ভয়াবহ রকম নিম্নমুখী উত্তরণ ঘটতো/ঘটবে।
যৌনধর্ষক না-হলেও নূর যে একজন শীর্ষস্থানীয় ভাষাদূষক বা ভাষাধর্ষক এবং অসহিষ্ণু গালিবাজ, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। ইদানীং তার ভাষাদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দূষণ সাধারণ মানুষ করলে তর্ক নেই; সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কবি-লেখক-সাংবাদিক-রাজনীতিকদের দ্বারা সংঘটিত হলে প্রশ্ন উঠবেই। কারণ তাতে বহুল প্রচারে ভাষাদূষণ মহামারির রূপ নেয়। বায়ান্নোর ভাষা শহিদদেরও অসম্মান করা হয়। তাই, যৌনধর্ষণের সর্বাত্মক বিরোধিতার পাশাপাশি ভাষাধর্ষণেরও তীব্র নিন্দা জানাই।
* একটা ভিডিও ক্লিপের চুম্বক অংশের লিপিচিত্র ‘ময়মনসিং (ময়মনসিংহ) থানার... ময়মনসিংয়ের (ময়মনসিংহের) কোতোয়ালি থানার ওসি ‘ডডনং’ (অস্পষ্ট) আমাদের একজন সহযোদ্ধাকে চড় মেরতে (মারতে) গেছে। আমি বলতে চাই, ওই অমানুষের বাচ্চা, তুই...(হইহই রইরই কোলাহল)... তুমি জনগণের সেবক হয়ে জনগণের গায়ে হাত তোলার অধিকার তোমাকে কী (কে)... কে দিয়েছ? ফের যদি এমন দুঃসাহস দেখাও, তোমার হাত ভেঙে গলায় ঝুলিয়ে দেবো, বলে রাখলাম।’ ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :