বিপ্লব বিশ্বাস: [২]দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে নিত্য নুতন অভিনব কায়দায় মাদক ডুকছে রাজধানীতে। ঢাকার অর্ধশতাধিক স্থানে দুই শতাধিক মাদক ব্যাবসায়ীর হাতে পৌঁছে দিতেই তারা এই নিত্য নুতন কায়দা ব্যবহার করছে। মাঝে মধ্যে কিছু চালান ধরা পরলেও অধিকাংশ মাদক চালান পৌঁছে যায় এ সব ব্যবসায়ীদের হাতে।
[৩]লাশ ফ্রিজিং গাড়ির পর এবার খালি ট্রাকের পাটাতনে শতশত বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
[ ৪] এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, আটককৃতরা রাজধানীর কুখ্যাত এক মাদক কারবারির হয়ে কাজ করে, যাকে ধরতে এরই মধ্যে অভিযানে নেমেছেন তারা। এর আগেও এই চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার এবং জব্দ করা হয় প্রায় দশ হাজার বোতল ফেন্সিডিল
[৪]জানা যায়,বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ ট্রাকসহ গ্রেপ্তার করা হয় দুজনকে। জব্দ করা হয় ১২শ' বাতল ফেন্সিডিল।
[৫]পুলিশ বলছে, এ চক্রের অন্য সদস্যদের গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে প্রায় দশ হাজার বোতল ফেন্সিডিল। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর। ট্রাকে মাদক চালানের তথ্য পেয়ে আগে থেকেই অবস্থান নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। ঘণ্টা দুই অপেক্ষার পর সন্দেহ হলে থামানো হয় একটি ট্রাক। ট্রাকের ভেতর ও বাইরে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। তবে মেলেনি কোনো মাদক।
এসময় আটক করা দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ট্রাকের চাকার ওপর পাটাতনের ভেতর চালানো হয় তল্লাশি। যেখানে সন্ধান মেলে শত শত বোতল ফেন্সিডিলের।
[৬]আটককৃতরা জানায়, এই চালান বেনাপোল থেকে রাজধানীতে পৌঁছে দেয়াই ছিলো তাদের কাজ।
[৭]পুলিশের দাবি, এই চক্রটিই গত সপ্তাহে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে কাফনে মোড়ানো ফেন্সিডিল চালানের সাথে জড়িত। নতুন নতুন কৌশলে তারা রাজধানীতে মাদক ঢোকানোর পরিকল্পনা করতো।।
আপনার মতামত লিখুন :