নাদেরা সুলতানা নদী: অসংখ্য ফেসবুক প্রোফাইল কালোতে ঢাকা। কেন এবং কী তার উদ্দেশ্য, ফেসবুক জগতে থাকা সকলের কম আর বেশি জানা। আমি আবেগী মানুষ এবং একই সাথে চেষ্টা করি নিজের যুক্তি, বোধ বিবেচনা, দায়বদ্ধতাগুলোকেও মাথায় রাখতে সব সময়, সব অবস্থায়। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার মতো নিরাপদ এক দেশে বসবাস করছি, যেখানে মেয়েদের জীবনযাত্রা বা শুধু মেয়ে শরীর বহন করার দায়ে কোথাও কোনোভাবে গুটিয়ে থাকার মতো অবস্থা দৃশ্যত নেই বললেই চলে। অন্যদিকে বাংলাদেশ, মাতৃভূমি, যেখানে কাটিয়ে এসেছি আমার জীবনের লম্বা সময়। আমার জানা আছে, কিশোরী তরুণী বা ক্ষেত্র বিশেষে মধ্য বয়স্ক বা বৃদ্ধ মহিলাদেরও জীবনের কোনো না কোনোদিন কাউকে কাউকে শুধু মেয়ে শরীরের জন্যেই নিগৃহীত হতে হয়, অনেকেই সেই সব একবুক কষ্ট নিয়ে চেপে কাটিয়েই দেয় একটা যেন তেন জীবন। কিন্তু আজকের এই সময়ে এসে, আসলে আমাদের যেন ফিরতে হচ্ছে উল্টো রথে। ঠিক কোন জায়গা থেকে যে কাজটা শুরু করতে হবে, আমি জানি না।
আমি মনে করি না, আজকের এই ধর্ষককূল সৃষ্টিতে আপনার আমার কোনো দায় নেই, অনেক অনেক দায় আছে এবং আমি আপনিই প্রতিদিন আমাদের প্রকাশে এবং অনেক ভাবনা বা বিশ^াস স্ট্রংলি না প্রকাশেই দেখতে হচ্ছে এমন ভয়াবহতা। ধর্ষক ঘরে ঘরে, হাঁটে মাঠে-ঘাটে, ক্ষমতার মুকুটে ও মুখোশে। আমি কালো করে দিয়েছি আমার প্রোফাইল কারণ, অপরাধী লাগছে, অসহায় লাগছে। বাংলাদেশের হাজারো লাখো কন্যা শিশু, কিশোরী এবং কিশোরদের কথা ভেবে ভেতর থেকে কেঁপে উঠছি। কী দুঃস্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠবে তাদের অনেকেই। মানতেই হবে একটা সিস্টেম ভেঙে গেছে এবং সবচেয়ে বেদনার হচ্ছে ধর্ষণের মতো সামাজিক ব্যাধি নির্মূলেও এই জাতি এক নয় হতে পারবে বলেও মনে হয় না। পোশাকে ঠিক না হলেই, তাকে যা ইচ্ছে তাই বলা যাবে। করা যাবে দেখুন এই ধারণায় আবদ্ধ আজ আপনার বন্ধু, পরিজন এবং পরিবারের অনেকেই, এই যখন অবস্থা, তখন আর আমি হতাশ, কিন্তু থেমে বা চুপ করেও যে থাকবো সেটাও ভাবতে পারছি না, তাই এই প্রলাপ। ফেসবুক থেকে