মোজ্জামেল হোসেন ত্বোহা : আমাকে একটা সহজ জিনিস বোঝান। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত প্রতিটা ধর্ষণের সাথে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের ছেলেরা। কেন? কারণ তারা বিচারের ঊর্ধ্বে। স্বৈরতন্ত্র টেকানোর জন্য দল এদেরকেই লালন-পালন করে। এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার হওয়া সত্ত্বেও কেন আমাদের হুজুররা এখনো সেই এক ঘ্যানঘ্যানানি- ‘পর্দা না করা আর অশ্লীলতাই ধর্ষণের প্রধান কারণ’ নিয়ে পড়ে আছে? কেন এরা ধর্ষণের সাথে ক্ষমতার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলছে না? এরা কী মনে করে? দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম থাকুক, ক্ষমতাসীনরা জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থাকুক, জাস্ট সব মেয়ে বোরকা পরা শুরু করলে আর নাটক-সিনেমায় অশ্লীলতা বন্ধ করলেই সব ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে?
ম্যাজিক? পর্দা আর অশ্লীলতার বাইরে এরা একটাই গতবাঁধা কথা বলবে, ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করা হোক, যেটা এরা নিজেরাও জানে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অবাস্তব একটা দাবি। ভাসুরের নাম এরা কখনোই মুখে আনবে না। সেন্টারের দুই পাশের প্লাস আর মাইনাস চিহ্নটাকে বিবেচনার বাইরে রাখলে এদের সাথে নীতিগতভাবে উইমেন চ্যাপ্টারের লেখিকাদের ব্যবধান ঠিক কতোটুকু? পোশাক, পর্দা, অশ্লীলতা নিয়ে আমার অবস্থান পরিষ্কার। আমি এগুলোকে পুরাপুরি ইকুয়েশনের বাইরে রাখতে পারি না। সেটা এমসি কলেজের ঘটনার পরদিন উল্লেখ করেছি। কিন্তু যেটা বলেছি, সেগুলো সাধারণ সময়ের আলোচনা। যখন পাওয়ার পলিটিক্সের কারণে ধর্ষণের ঘটনা আলোচনায় থাকে, তখন এই সব হুজুরদের মুখে পর্দা আর অশ্লীলতার বয়ান শুনলে আমার চোখে তাদের চেহারার জায়গায় উইমেন চ্যাপ্টারের মহিলাদের ছবিই ভাসে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :