শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ০৭ অক্টোবর, ২০২০, ০৪:০৬ সকাল
আপডেট : ০৭ অক্টোবর, ২০২০, ০৪:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশনা

আবুল বাশার নূরু: [২] সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব পদের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের জন্য ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য সহকারী শিক্ষক হিসেবে ৬ হাজার ৯৪৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি জারির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশনাও দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাংলা ট্রিবিউন

[৩] প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘শিগগিরই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির কার্যক্রমটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

[৪] ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মুজিববর্ষে সব শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সম্ভব হয়নি। তবে গত সেপ্টেম্বরে নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগের পর গত সেপ্টেম্বরে কোটামুক্ত রেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এতে নির্ধারিত ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়। প্রাথমিকের শিক্ষক পদটি ১৩তম গ্রেড হওয়ার কারণে এই প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয় বিবেচনার পর বিজ্ঞপ্তি জারি করার কথা রয়েছে।

[৫]প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটা না রাখার বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, আনসার-ভিডিপি, প্রতিবন্ধী ও জেলা কোটা সংরক্ষণ করা হতো। তবে ১৪ থেকে ২০তম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে এসব কোটা রাখা হবে।

[৬]প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকের শূন্যপদ এবং গত জুন মাস থেকে এখন পর্যন্ত সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে এসব পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হবে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন, নিয়োগ দেওয়া হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। এর আগে একই বছর ২০১৪ সালের স্থগিত পরীক্ষাটিও নেওয়া হয়। ওই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ২৯ হাজার ৫৫৫ প্রার্থী। এরমধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয় ৯ হাজার ৭৬৭ জনকে।

এ দুই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চূড়ান্ত নির্বাচিত না হওয়ায় নিয়োগ পাননি ৫৬ হাজার ৯৩৬ প্রার্থী। উত্তীর্ণ এসব প্রার্থী ২০১০-২০১১ সালের মতো প্যানেল নিয়োগ চান। তবে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘প্যানেলে নিয়োগ দেওয়া হবে না। নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়