সিলেট প্রতিনিধি: [২] জেলার তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের পর অপহৃত হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট নগরের একটি কলোনি থেকে তাকে উদ্ধার করেছে সিলেট মহানগর পুলিশের সিআরটি ও কোতোয়ালি থানাপুলিশের একটি যৌথ দল। এসময় ওই ভারতীয় নাগরিক ওয়ানশিম্পার বিয়ামকে অপহরণের দায়ে ৪ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
[৩] রোববার (৪ অক্টোবর) ভোর ৫ টায় নগরের কলাপাড়াস্থ আম্বিয়ার কলোনীতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। রোববার দিনগত রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
[৪] এসএমপির প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি মডেল থানাপুলিশের টইল দল রোববার ভোর ৫ নগরের শেখঘাট কলাপাড়াস্থ আম্বিয়ার কলোনিতে অভিযান পরিচালানা করে। এসময় কলোনির সুজিত বিশ্বাসের ঘর থেকে সিলেটের সীমান্ত উপজেলা জৈন্তাপুরের কেন্ডি কাঠাল বাড়ি গ্রামের অর কুমার বিশ্বাসের ছেলে নীল মনি বিশ্বাস (২৫), অতুল দেবনাথের ছেলে দোলন দেবনাথ (২২), একই উপজেলার চানপুর গ্রামের মহানাথ বিশ্বাসের ছেলে সুজিত বিশ্বাস (৩৭) , শিকার খাঁ গ্রামের মৃত মন নমের ছেলে নিতাই নমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
[৫] এসময় তাদের হেফাজতে থাকা ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের লাদ্রিমবাল এলাকার ওয়ানশুক বালাহের ছেলে ওয়ানশিম্পার বিয়ামকে উদ্ধার করে। এবং ৬টি মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ।
[৬] পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, ভারতীয় ওই নাগরিক বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে গরু কেনা বেচার উদ্দেশ্যে
জৈন্তাপুরের কেন্ডি গ্রামের মৃত ইসলাম উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন দিলু (৩০) , একই গ্রামের মৃত টিয়া বিশ্বাসের ছেলে রিপন বিশ্বাসের সাথে কথা বলে তামাবিল স্থলবন্দরের কাটাতার বিহীন সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
[৭] পরে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা তাকে অপরহণ করে শেখঘাট কলাপাড়াস্থ আম্বিয়ার কলোনিতে আটকে রাখে। তাকে উদ্ধারের সময় বাংলাদেশে প্রবেশের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। পরে রোববার দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে ওই ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে কন্ট্রোল অব এন্ট্রি এ্যাক্ট ১৯৫২ এর ৪ ধারায় থানায় মামলা রুজু করে। মামলা নং-০৭ তাং-০৪/১০/২০২০।
[৮] এছাড়া ভারতীয় নাগরিক ওয়ানশিম্পার বিয়ামকে অপহরণের অভিযোগে বাংলাদেশি নাগরিক সিলেটের জৈন্তাপুরের নীল মনি বিশ্বাস (২৫), কৃষ্ণ (৪৫), দোলন দেবনাথ (২২), সুজিত বিশ্বাস (৩৭), নিতাই নম (২৮), দেলোয়ার হোসেন দিলু (৩০) এবং রিপন বিশ্বাসের (২৮) বিরুদ্ধে একই দিন থানায় একটি অপহরণ মামলা রুজু হয়। কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা নং-০৬। পরে পৃথক দুটি মামলায় গ্রেফতারকৃত ভারতীয় নাগরিকসহ চার অপহরণকারীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :