এএইচ রাফি: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওরাঞ্চল নাসিরনগরে ভুল চিকিৎসায় নাসরিন আক্তার (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকার মেঘনা মেডিকেল সেন্টার নামে একটি ক্লিনিকে এই ঘটনা ঘটে।
[৩] নাসরিন উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের আনোয়ার আলীর মেয়ে। এঘটনায় নজরুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। নজরুল নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয় হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে পরিবার। রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ প্রেরণ করা হয়েছে।
[৪] নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে নাসরিন একটি দুর্ঘটনায় বাম পায়ে আঘাত পান। সে সময় তার বাম পায়ের হাঁটুর উপরের অংশের হাড় ভেঙে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। প্রায় এক বছর চার মাস ঢামেকে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে তার পায়ে রড বসানো হয়। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নাসরিনের পায়ের রড খোলার ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে সিএনজি স্টেশনের সামনে এলাকায় চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত নজরুলের সাথে দেখা হলে জানায়, ঢাকায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। নজরুল নিজেই রড খুলে দিতে পারবে। ১০হাজার টাকার বিনিময়ে নজরুল পায়ের রড খুলে দিবে মর্মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত মেঘনা মেডিকেল সেন্টারের নাসরিনকে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। শনিবার রাতে নজরুল নিজেই অপারেশন থিয়েটারে পায়ের রড খোলার সময় নাসরিন মারা যায়। নাসরিনের মৃত্যুর খবর জানতে পারলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত নজরুলকে আটক করে পুলিশ।
[৫] নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক জানান, শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বজনরা রাস্তা অবরোধ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে চিকিৎসক পরিচয়দানকারি নজরুলকে আটক করে থানায় আনা হয়। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি