সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, সরকার যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে নয়, কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক মহল থেকে চাপ এবং আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে চায়। আমরা সেই পথেই হাঁটছি। এতে ইতোমধ্যে অনেক সফলতা এসেছে।
[৩] তিনি বলেন, ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গারা এসেছিল তাদের অনেকেই মিয়ানমারে ফেরত যায়নি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলবো ১৯৯১ সালের পর বিএনপি দু’দফায় ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল। তাদেরকেও তারা ফেরত পাঠাতে পারেননি।
[৪] হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা মানবিক দিক বিবেচনা করে সীমান্ত খুলে দেওয়ায় বর্বরতার হাত থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা রক্ষা পেয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যম তাকে ‘মাদার অব হিমিউনিটি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। যেখানে সমগ্র পৃথিবী প্রশংসা করছে সেখানে বিএনপি পারেনি।
[৫] তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই আন্তর্জাতিক আদালত থেকে মিয়ানমারকে সমন দেয়া হয়েছে। অনেককে বিচারের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালত থেকে তিরস্কারের মতোই করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশেরই কূটনৈতিক তৎপরতার সফলতা।
[৬] শুক্রবার চট্টগ্রামের সিআরবি শিরীষ তলায় সামাজিক সংগঠন ‘তিলোত্তমা চট্টগ্রাম’ আয়োজিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।