অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি স্বাধীন জাতি দিয়ে গেছেন। ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করেছি। কিন্তু এই বিজয় ও স্বাধীন জাতি আবার ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তানে রূপান্তর হয়েছিলো চরিত্র, বৈশিষ্ট, চিন্তা চেনতনা-ভাবধারা সব দিক থেকে। কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান পরিবর্তন করে তখন পাকিস্তান জিন্দাবাদ করা হয়। মূলকথা ১৫ আগস্টের পর এদেশকে পূর্ব পাকিস্তানে রূপান্তর করা হয়েছিলো। এরপর ১৯৮১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে দেশে ফিরে আসেন। এই ফিরে আসা ছিলো পূর্ব পাকিস্তানের ভাবধারা থেকে নতুন করে বাংলাদেশ রূপান্তর করার আন্দলোন শুরু করেন তিনি এবং আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ সবটুকু ক্যান্টনমন্টে বন্দি করা হয়েছিলো, সেখান থেকে মুক্ত করে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ নতুন করে যাত্রা শুরু করে ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা গ্রহণের পর।
আমাদের সমস্ত আশা-আকাক্সক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ সবই ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিলো। ক্যান্টনমেন্টে রাষ্ট্রপতি থাকতেন, প্রধানমন্ত্রী থাকতেন এমনকি বিরোধীদলীয় নেত্রীও ক্যান্টনমেন্টে থাকতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক অর্জনের মধ্যে একটি হচ্ছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে গণতন্ত্রকে বের করে নিয়ে আসা। এরপর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে ঘুরে দাড়ানো এবং খুদা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে আমাদের খাদ্যে স্বয়ংনসম্পূর্ণতা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, গড়আয়ু, রেমিটেন্স, রপ্তানি সবকিছুতেই যে উদ্ধমূখী প্রবণতা এইটা শেখ হাসিনার চৌখস নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে। আশা করি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর হওয়ার যে যাত্রা শুরু হয়েছে সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো। বর্তমানে চারিদিকের যে হাল অভিযোগ সবকিছু দেখে মানুষ যখন চরম হতাশায় নিমজ্জিত হয় তখন একটি আলো দেখে এই জাতি সেটি হলেন শেখ হাসিনা। আমরা তার সুস্বাস্থ্য এবং র্দীঘায়ু কামনা করি ও তার নেতৃত্বে এই বংলাদেশ তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে সেই প্রতাশ্যা করি আমরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। সাক্ষাৎকার : আব্দুল্লাহ মামুন
আপনার মতামত লিখুন :