ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থায় ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে শতাধিক পরিবার।শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠতে শুরু করে পানিবন্দি পরিবারগুলো। এদিকে জেলার নেকমরদ দুলর্ভপুর গ্রামে বজ্রপাতে দুইজন মারা গেছে।
কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে টাংগন নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে সদরের জলেশ্বরী তলা, ডিসিবন্তি, খালপাড়া, জমিদারপাড়া, এসিল্যান্ডবস্তিসহ বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে শতাধিক পারিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে আশপাশের স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করতে প্রশাসনের পাশাপাশি কয়েকটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছে।
এদিকে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ দুর্লভপুর গ্রামে রনি ও আলিম নামে দুইজন বজ্রপাতে মারা গেছে। আহত হয়েছে আব্দুর রউফ নামে আরও একজন।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে দৃর্লভপুর গ্রামের তিশলা সাখাইখুড়া বিলে মাছ ধরতে যায় রনি, আলিম ও রউফ। এসময় বজ্রপাতে ওই গ্রামের নাসিরুলের ছেলে রনি ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে আলিম বজ্রপাতে ঝলসে মৃত্যু বরণ করে। পাশে দাড়িয়ে থাকা একই গ্রামের রউফ আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।