রবিউল আলম: ‘ভোলা মন, মনরে আমার’ গানের কথাই বারবার মনে করিয়ে দেয় দৈনিক ‘আমাদের নতুন সময়’ পত্রিকা। যুদ্ধবিধস্ত দেশের কথা, স্বাধীনতার কথা, বাঙালি ইতিহাস ঐতিহ্যের কথা। বঙ্গবন্ধুর জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণের কথা। প্রতিদিন পুরনো কাগজ থেকে উঠিয়ে আনা বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা। এ যেন এক শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ। নাঈমুল ইসলাম খানের চিন্তাচেতনার প্রতিফলনকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখে আমাদের নতুন সময় পত্রিকার নাম উচ্চারিত হওয়া থেকেই বাঙালি মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছে। এতো কম সময়ে এতো ছোট একটি পত্রিকা এতো গুরু দায়িত্ব পালন করবে, বিস্ময়কর।
বাঙালি অল্প সময়ে ভুলে যায়। অল্প কিছুতেই খুশি হয়ে যায়, রাতের আধারে টাকা পাইলেই ভোট বিক্রি করে দেয়। নিজের অধিকার ঐতিহ্যের কথা মনে রাখে না। বাঙালি জেগে উঠলে শত বাধাও আটকাতে পারে না, জাগিয়ে তুলেছিলেন শেখ মুজিব, অবদানের জন্য আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় দেওয়া জাতির জনকের ভাষণের প্রকাশিত অংশ পড়ছিলাম। ৭ মার্চের ভাষণ প্রতি সপ্তাহে শুনি আর ভাবি, স্বাধীনতা ইতিহাস, কতো সহজ করে একদল বাঙালি উচ্চারণ করে স্বাধীনতা নাকি ঘোষণা দিয়েই অর্জন করা হয়েছে। প্রথম বাংলাদেশ আমার, শেষ বাংলাদেশ জাতীয় সংগীত করতে চেয়েছে, ভারতের বিজেপি সরকারও ২০ সেপ্টেম্বর বাঙালির বুকে, ভাষা দিবস চাপিয়ে দিতে চায়। বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি সম্পর্কে ‘আমাদের নতুন সময়’-এর ভূমিকা বিশ^ বাঙালিকে জাগাতে না পারলেও অবদানকে কখনো ছোট করে দেখা যাবে না। আমরা গর্বিত নাঈমুল ইসলাম খানের জন্য, স্বাধীনতা, ভাষা, বাঙালি ইতিহাস ঐতিহ্য কৃষ্টি সংস্কৃতি, সাহিত্য নিয়ে মিডিয়ার ভূমিকার জন্য। অনেক বিষয় আমাদের মনকে জাগিয়ে তোলার জন্য।
লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি