নাঈমুল ইসলাম খান: আমাদের প্রজন্ম স্বৈরাচারী সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আমলে ছিলাম আন্দোলনের সাংবাদিক। এরশাদ সরকারের শাসন বিষয়ে আমরা নিরপেক্ষ ছিলাম না, ছিলাম গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে। এরশাদ সরকারের পতন পর্যন্ত আমাদের প্রজন্মের, সাপ্তাহিক সংবাদপত্র জগতে সহযোদ্ধা সম্পাদক ছিলাম চারজন। মিনার মাহমুদ, মোজাম্মেল বাবু, নাঈমুল ইসলাম খান এবং আনোয়ার শাহাদাত। [১] (১.১) মিনার মাহমুদ সম্পাদিত ‘সাপ্তাহিক বিচিন্তা’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে। এই পত্রিকা নিষিদ্ধ হয় ১৯৮৭ সালে। (১.২) সাপ্তাহিক বিচিন্তার দ্বিতীয় প্রকাশ ১৯৯১ সালের শুরুতে। কিন্তু মিনার মাহমুদ একই বছর দীর্ঘদিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। (১.৩) মিনার মাহমুদ প্রায় ২০ বছর পর দেশে ফিরে এসে ১০.১০.২০১০ তারিখে তৃতীয়বারের মতো বিচিন্তা প্রকাশ শুরু করেন। ২০১১ সালে পত্রিকাটি আবারও বন্ধ হয়ে যায়। (১.৪) মিনার মাহমুদ ২৯ মার্চ ২০১২ তারিখে আত্মহত্যা করেন।
[২] (২.১) মোজাম্মেল বাবু সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘দেশবন্ধু’ ১৯৮৭ সালের শেষে ২-৩ মাসে সম্ভবত সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর এর মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়। তারপর সরকারি নিষেধাজ্ঞায় এর প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।
(২.২) মোজাম্মেল বাবু সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘পূর্বাভাস’ ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৯২ সালের শুরু পর্যন্ত প্রকাশিত হয়।
[৩] (৩.১) নাঈমুল ইসলাম খানের সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ‘খবরের কাগজ’ প্রকাশিত হয় ডিসেম্বর ১৯৮৮ সালে এবং সেটি অব্যহত থাকে জানুয়ারী ১৯৯২ পর্যন্ত। (৩.২) উল্লেখ্য ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর এরশাদের পতন পর্যন্ত শাসনামলে খবরের কাগজ ৩ বার নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। কিন্তু বিভিন্ন সময় কৌশলী প্রচেষ্টা বা আদালতের হস্তক্ষেপে তার প্রকাশনা কার্যত নিরবিচ্ছন্ন ছিলো।
[৪] (৪.১) ‘আসে দিন যায়’ নামে একটি সাপ্তাহিক বের করেন আনোয়ার শাহাদাত। তিনি একসময় সাপ্তাহিক বিচিন্তায় কাজ করতেন। (৪.২) ‘আসে দিন যায়’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালের জুন-জুলাই-আগস্ট মাস ব্যাপী এবং এই সময়ে ১০-১২টি সংখ্যা। (৪.৩) সরকার পত্রিকাটিকে নিষিদ্ধ করলে প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। (৪.৪) আনোয়ার শাহাদাত এখন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।
[৫] তথ্য সহযোগিতায় প্রভাষ আমিন (বার্তা প্রধান, এটিএন নিউজ)। এই প্রতিবেদনের অনুলেখক : ফাহমিদা তিশা