ফজলুল বারী: সৌদি আরব ৫৪ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নিতে বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে। এ নিয়ে অনেকে নানা রকম উষ্মা প্রকাশ করছেন, যা অর্থহীন। কারণ এটা বাংলাদেশের দুর্নীতিপ্রবণ পাসপোর্ট ব্যবস্থার প্রকাশ। এখানে টাকায় পাসপোর্ট পাওয়া যায় বলে দেশহীন রোহিঙ্গারা সহজে বাংলাদেশের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে সৌদি আরব-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। বিদেশ যেতে পাসপোর্ট লাগে। আমরাও সব সময় চাই এরা বাংলাদেশ থেকে চলে যাক। এরা শখ করে বাংলাদেশে আসেনি। বাংলাদেশও এদের দাওয়াত করে আনেনি। কোন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ এদের গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিলো তা যাতে ভুলে যাওয়া না হয়। শরণার্থী জীবন কারও জন্যই সুখের জীবন নয়। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় বলেন।
আগে দেশহীন রোহিঙ্গাদের সৌদি আরবে বাদশাহর মেহমান হিসেবে দেখা হতো। এখন সৌদি আরব অবস্থান পাল্টেছে। প্রয়োজনে তারা ইসরাইলের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী। অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বের নানা দেশে যতো রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন তারাও বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে এসেছিলেন। এরপর তারা পাসপোর্ট ফেলে দিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। এ দেশগুলো যেহেতু রোহিঙ্গা সংকটের কারণ জানে, তাই তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলে না। কারণ এই মুহূর্তে রোহিঙ্গারাই বিশে^র প্রকৃত শরণার্থী। যাদের কোনো দেশ নেই, রাষ্ট্র নেই। বাংলাদেশের উচিত এদের সেই সব সভ্য দেশে পাঠানোর চেষ্টা করা, যারা সৌদি আরবের মতো অসভ্য নয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :