অজয় দাশগুপ্ত: স্তাবকতা আর চামচামির জ্বালায় সত্য মুখ লুকিয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর নাম, ছবি পোশাক নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি আর কোনো সময় দেখিনি। আমাদের জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক সন্তানটিকে নিয়ে দেশে বিদেশে হয় ব্যবসা নয়তো পলিটিক্স। এতো মুজিবকোট এতো মুজিবপ্রেমী কখনো দেখা যায়নি। এদের প্রশ্ন করুন তো, কোনো বাঙালি রাষ্ট্রের দায়িত্ব না নেওয়ার আগেই ব্রিটেনের মতো রক্ষণশীল গণতান্ত্রিক দেশের রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন? তাদের বিশেষ বিমানে রওনা হয়েছিলেন স্বদেশ অভিমুখে। কোনো বাঙালি দেশে ফেরার আগেই দিল্লি জয় করে এসেছিলেন। তার ৭ মার্চের ভাষণটি যে দুনিয়ার সেরা ভাষণের সংকলনগুলোতে নেই, এটা কী আমরা জানি। জানি না এই কারণে মোসাহেবের দল তার জন্ম শতবর্ষে বই বেচা-কেনাতেই একশ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এসব দেখার সময় কোথায়? আজ কেন আমাদের গর্ব করার দিন। আপনি ১০ জন বিশিষ্ট মুজিবকোর্ট পরিহিতদের শুধান, একজনও বলতে পারবে না।
যে ভাষার জন্য বাঙালি রক্ত দিয়েছে, যে ভাষার জন্য পাকিস্তানকে বিদায় জানিয়েছে, যে ভাষার জন্য আমাদের ওপার বাংলার বাঙালিদের মতো জগাখিচুড়ি হিন্দি বলতে হয় না। সেই মধুর মায়ের ভাষায় তিনি কথা বলেছিলেন জাতিসংঘে। এর আগে জাতিসংঘে কেউ বাংলায় ভাষণ দিতে পারেন, এটা দুনিয়া স্বপ্নেও ভাবেনি। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, অতুল প্রসাদ, সুভাষ বসু থেকে সূর্য সেনের আরাধ্য কাজ সম্পন্ন করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সে কারণে তিনি আমাদের জনক, আমাদের বঙ্গবন্ধু। বাঙালির মুকুটে গৌরব পালক যুক্ত করে আজকের দিনে বাংলাকে আন্তর্জাতিক করে দিয়েছিলেন তিনি। পোশাক ও লেবাসের চাইতে তার এই গৌরবের অংশীদার হওয়াই জরুরি। ৪৬ বছর আগে ১৯৭৪ সালে তার এই কীর্তির কথা স্মরণ করি। জয়তু বঙ্গবন্ধু। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :