সমীরণ রায় : [২] বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে কুকুর স্থানান্তর কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যেই স্থানান্তরিত কুকুরগুলোকে তাদের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে। জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ এবং কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা মোতাবেক পদক্ষেপ নিতে হবে।
[৩] তারা বলেন, কুকুরের কামড় প্রতিরোধ ও কুকুর এবং মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। অবিলম্বে কুকুরের বন্ধ্যাকরণ এবং টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯ এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নগরের প্রাণ প্রকৃতি এবং মানুষ কীভাবে সহাবস্থান করতে পারে তার একটি সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন করা জরুরি। দেশের তরুণ সমাজকে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ও সংরক্ষণের উদ্বুদ্ধ এবং উৎসাহী করতে প্রয়োজনে একটি জাতীয়ভাবে কর্মসূচির নেওয়ার দাবি করেন তারা।
[৪] তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। তিনি নিজেও একজন পরিবেশবাদী। তার হস্তক্ষেপ ছাড়া এদেশে ভালো কাজ হয় না। কুকুর নিধন কোনোভাবেই কাম্য নয়, সব প্রাণীর সঙ্গে সহাবস্থান থাকা উচিত।
[৫] শুক্রবার ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলন তারা এসব কথা বলেন।
[৬] এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বাপা’র সহ-সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, সহ-সভাপতি ডা. মো. আব্দুল মতিন, পরিবেশ স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব বিধান চন্দ্র পাল প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :